ফের সিবিআই তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, ‘কতদিনে শেষ হবে সিবিআই ( CBI ) তদন্ত?’ এর আগে এজলাসে বসেই বিচারপতি সিবিআই-এর কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শিক্ষা-প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক আধিকারিক। কিন্তু এজলাসে সেই বিচারপতিকেই বলতে শোনা গিয়েছে,
আমার জীবদ্দশায় আসল অপরাধী ধরা পড়বে বলে তো মনে হয় না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, আসল অপরাধী বলতে কার বা কাদের দিকে ইঙ্গিত করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?
সোমবার তিনি বলেন, সিবিআই-এর মতো তদন্তকারী সংস্থায় লোক বাড়াতে হবে। লোক কোথায়? সিবিআইকে লোক বাড়াতে হবে। ‘এদিন বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, আমার চোখে আরও দুর্নীতির ইঙ্গিত পাচ্ছি’ সেক্ষেত্রে সিটে লোক না বাড়ালে হবে না। প্রয়োজনে অর্ডার দেবো, কারণ সিবিআই আরও বহু মামলার তদন্ত করছে’।
ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, এবং দুই মিডলম্যান প্রদীপ সিং ও প্রসন্নকুমার রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, আসল অপরাধী বলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কার দিকে ইঙ্গিত করলেন ? সেই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে।গত ৭ নভেম্বর এক মামলা চলাকালীন বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, সিবিআই ম্যাজিক দেখাতে পারে। আশা করব, তারা দেখাবে।
এদিন, শুনানির প্রথম পর্বে, তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে কার্যত সিবিআইকে ভর্ত্সনা করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে অবশ্য, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ওপরই আস্থা রাখেন তিনি।
সোমবার বিকেলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি রয়েছে। সিবিআই এদিন অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেবে বিচারপতির ঘরে। উঠে আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ কোনও ব্যক্তির নাম। তার আগেই বিচারপতির এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।












































































































































