ঋষভ পন্থ নেটে ঢোকার আগেই গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে এলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। কিছুক্ষণ কথা হল দু’জনে। এরপর নেটে ঢুকে গেলেন ঋষভ। বাঁ হাতি ব্যাটারকে অনেকক্ষণ ধরে বল করে গেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, হর্ষল প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চ্যাহালরা। ঋষভ যখন ব্যাটিং প্র্যাকটিস সেরে বেরোচ্ছেন, তখন পিঠ চাপড়ে দিলেন দ্রাবিড়। বুধবার সকালে অ্যাডিলেডে ভারতের অনুশীলনের এই দৃশ্য বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ। তাহলে কি আরও একটা ম্যাচ ঋষভেই আস্থা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট!
কাট টু, রোহিত শর্মার প্রেস মিট। ঋষভ না দীনেশ কার্তিক, কে খেলবেন এ নিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন ভারত অধিনায়ক। রোহিতের সাফ কথা, ‘‘ডিকে এবং ঋষভ দু’জনেই ফিট। মাঠে নামার জন্য তৈরি। তবে কে খেলবে, সেটা আপনাদের এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। দেখা যাক কী হয়!’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘টেকনিক্যাল কারণে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ঋষভকে খেলানো হয়েছিল।সেমিফাইনালে কার বিরুদ্ধে খেলতে হবে সেটা আমারা জানতাম না। তাই নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডের স্পিনারদের পাল্টা আক্রমণ করবে এমন একজন বাঁ হাতি ব্যাটারকে তৈরি রাখতে চেয়েছিলাম।’’
রোহিতের বক্তব্য, ‘‘বিশ্বকাপের আগে দলের প্রত্যেককে বলা হয়েছিল তৈরি থাকতে। যাকে যে ম্যাচে প্রয়োজন হবে, তাকে সেই ম্যাচ খেলানো হবে। সেটা সেমিফাইনাল হতে পারে, আবার ফাইনালও হতে পারে।’’ এদিকে বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে রয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। রোহিত বলছেন, ‘‘সূর্য খোলা মনে ব্যাট করে। গত এক বছর ধরে ও এভাবেই রান করেছে। বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল বলে ওর উপরে বাড়তি চাপ থাকবে বলে মনে হয় না।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘সূর্যর ফর্ম বাকিদের চাপ কমিয়ে দিয়েছে। খেলাটা খুব ভাল বোঝে। বোলাররা কোন জায়গায় বল ফেলতে চলেছে, সেটা আগাম আন্দাজ করতে পারে। ও বড় মাঠেই খেলতে পছন্দ করে। ছোট মাঠে নয়। এ কথা সূর্য নিজেই আমাকে বলেছে। কারণ তখন অনেক ফাঁকা জায়গা বের করতে পারে।’’
আত্মবিশ্বাসী রোহিতের বক্তব্য, ‘‘জানি এটা টি-২০ ক্রিকেট। তবে ইংল্যান্ডের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জেতা কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। ওই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ২-১ ফলে জিতেছিলেন রোহিতরা। তিনি আরও বলেন, ‘‘নকআউট ম্যাচ সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হারলে ছিটকে যেতে হবে। কাল মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটাই দিতে হবে। আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই।’’
আরও পড়ুন:আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত-ইংল্যান্ড মহারণ