রাজস্ব বাড়াতে সরাসরি ফ্রাঞ্চাইজির মাধ্যমে মদের দোকান খুলবে রাজ্য সরকার

0
3

পুজোর মরশুমে মদ বিক্রি করে বিপুল রাজস্ব আদায় করেছে রাজ্য (State)। সেই উদাহরণ সামনে রেখে এবার আয় বাড়াতে সরাসরি ফ্রাঞ্চাইজির মাধ্যমে মদের দোকান খুলবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ফ্রাঞ্চাইজি খুঁজতে টেন্ডার (Tender) ডেকেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বেভারেজ কর্পোরেশন (West Bengal State Beverage Corporation)। নাম দেওয়া হচ্ছে বেভকো-রিটেল শপ। প্রথম দফায় আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দার্জিলিঙে এই ফ্রাঞ্চাইজি শপ (Shop) খোলার জন্য জায়গা দেখা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই সরকারি মদের দোকানে ভারতীয় এবং ভারতে তৈরি বিদেশী মদ (foreign liquor) মিলবে।

আবগারি দফতরের সূত্র অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের এই জেলাগুলিতে একটি দোকানের থেকে অন্য মদের দোকানের দূরত্ব অনেকটা। সেই কারণেই ফ্রাঞ্চাইজি দিয়ে মদের দোকান খুলতে চায় রাজ্য। এতে বেআইনি ও বিষ মদ বিক্রিতেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে আশা। বাড়বে সরকারের রাজস্ব।
তবে, সিদ্ধান্ত হয়েছে,
• পুর নিগম বা কর্পোরেশন এলাকায় একটি মদের দোকানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়া হবে না। আবার পুরসভা বা নোটিফায়েড এলাকায় ২ কিলোমিটারের মধ্যে এবং গ্রাম পঞ্চয়েত এলাকায় তিন কিলোমিটারের মধ্যে মদের দোকান থাকলে ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়া যাবে না।
• যাদের মদের দোকানের লাইসেন্স রয়েছে তারা এই ফ্রাঞ্চাইজি পাবে না। একজন সর্বাধিক তিনটি এলাকায় ফ্রাঞ্চাইজির জন্য আবেদন জানাতে পারেন।
• ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়া প্রতিটি দোকানে সরকারি আইন মেনে কর্মচারী নিয়োগ ও বেতন কাঠামো করতে হবে। তাঁদের ছবি সহ পরিচয় পত্র দেবে জেলা আবগারি অধিকর্তা বা বেভকো।
• এই ফ্রাঞ্চাইজির জন্য প্রতি দোকানে নকশাও করে দেবে বেভকো। ইচ্ছে মতো কেউ দোকান সাজাতে পারবে না।
• ন্যূনতম একশো বর্গফুটের দোকান এবং একশো বর্গফুটের গুদাম থাকতে হবে।

প্রাথমিকভাবে ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য সরকারকে এককালীন টাকা দিতে হবে।
 পুরসভা বা নোটিফায়েড এলাকার জন্য দেড় লক্ষ টাকা।
 গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জন্য এক লক্ষ টাকা।
 পুর নগম এলাকায় চার লক্ষ টাকা।
এছাড়াও বছরে ফ্রাঞ্চাইজি ফি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৫ হাজার টাকা, পুরসভা বা নোটিফায়েড এলাকায় ৩০ হাজার টাকা এবং পুর নিগম এলাকায় ৫০ হাজার টাকা ফি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এ ছাড়াও ব্যবসায় লাভের উপরে একটি শতাংশ টাকা বেভকো পাবে।