মানিক ভট্টাচার্য নয় টাকা যেত বোর্ডের কাছে, ২৪ ঘন্টায় ভোলবদল তাপসের

0
2

মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ভোলবদল মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের। বুধবার ইডি(ED) দফতরে হাজিরা দেওয়ার আগে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তাপস মণ্ডল(Tapas Mandal) জানান, বিএড, ডিএলএড কলেজে অফলাইন ভরতির টাকা যেত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের(Manik Bhattacharya) কাছে। বৃহস্পতিবারও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মানিকবাবু নয়, আমার অফিস থেকে টাকা পাঠানো হত পর্ষদে।”

এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল বলেন, ডিএলএড কলেজে ভর্তির লেট ফাইন হিসেবে ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। আমার অফিস থেকে টাকা যেত বোর্ডের কাছে।” টাকার হিসেব দিয়ে তিনি বলেন, “৩০০ টাকা অনলাইনের ফি বাবদ, এবং তার সঙ্গে যোগ করা হত ৪ হাজার ৭০০ টাকা। তবে টাকা নেওয়ার পর কী হয়েছিল তা জানেন মানিক ভট্টাচার্য। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তিনিই নিয়েছেন। অনলাইন ক্লাসের জন্য চুক্তি হয় এডুক্লাসেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে। অনলাইন ক্লাসের জন্য পড়ুয়াপিছু ৫০০ টাকার চুক্তি হয়। নিয়ম ভেঙেছে কিনা সেটা জানে বোর্ড। তবে এই লেনদেনর মধ্যে কোনও বেআইনি কিছু ছিল না। কারণ পুরোটাই আইনি করে দিয়েছিল পর্ষদ।”

উল্লেখ্য, বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাপস দাবি করেছিলেন, “অফলাইনে ভরতির জন্য টাকা তো দিতেই হত। ছাত্র পিছু ৫ হাজার টাকা। উনি অফিসে (মহিষবাথান) লোক পাঠাতেন। ফাইল যেত। টাকা যেত।” তখন ফের প্রশ্ন ওঠে, “কে লোক পাঠাতেন?” তাপস মণ্ডলের জবাব, “মানিকবাবু।” পরের প্রশ্ন, “তাহলে কি মানিকবাবুই টাকা নিতেন?” জবাব আসে, “মানিকবাবু যখন লোক পাঠাতেন, তাহলে উনিই টাকা নিতেন।” এবার অবশ্য ভোল বদলে তাপস দাবি করলেন, মানিক ভট্টাচার্য নয় টাকা যেত বোর্ডের কাছে।