কেরলে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত মেটার ইঙ্গিত নেই বরং তা বৃহস্পতিবার চরম আকার নিয়েছে। বামশাসিত কেরল সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল (Governor) আরিফ মহম্মদ খানের (Arif Mohammed Khan) দ্বন্দ্ব (Conflict) এবার চরমে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস রাজ্যে চোরাচালানের (Smuggling Activities) অন্যতম ঘাঁটি। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই রাজ্যে চোরাচালান কার্যকলাপে মদত দেওয়া হচ্ছে। আর সেকারণেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Chief Minister Pinarai Vijayan) রাজ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছেন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেরলের রাজ্যপাল বলেন, আমি কখনওই এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইনি। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি সবরকমের চোরাচালানের আঁতুড়ঘর মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়। আরিফ মহম্মদ খান আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় এবং মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা যদি বিভিন্ন চোরাচালান কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমার হস্তক্ষেপ করার অধিকার রয়েছে। তবে পাল্টা দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নও। তিনি বলেন, রাজ্যে আরএসএস (RSS) ও সঙ্ঘ পরিবারের বিশ্ববিদ্যালয় বানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ।
বুধবার তিরুবনন্তপুরমে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছিলেন, রাজ্যপাল আরএসএস এবং সংঘ পরিবারের এরাজ্যে থাকা কেন্দ্রগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির চেষ্টা করছেন। তিনি এই গোষ্ঠীগুলির গেরুয়াকরণ এজেন্ডা (Saffronisation Agenda) বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন অভিযোগের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেরলের রাজ্যপাল। তাঁর কথায় বাম সরকার, মুখ্যমন্ত্রী বলছে আমি আরএসএস-এর লোকদের আনার জন্য এটা করছি। আমি যদি আমার ক্ষমতা ব্যবহার করে শুধু আরএসএস নয়, কোনও ব্যক্তিকেও মনোনীত করে থাকি, তাহলে আমি পদত্যাগ করব। প্রমাণ করতে না পারলে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করতে পারবেন তো? রাজ্যপালের আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের আধিকারিকরাই কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kannur University) উপাচার্যকে তাঁদের আত্মীয়দের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন যাঁরা ছিলেন অযোগ্য।