এবার নিজের বিরুদ্ধেই নিজের থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন এক পুলিশ অফিসার। নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার এক থানায়। তবে একেবারেই স্বেচ্ছায় নয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে এমন কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন ওই অফিসার। তিনি বালিপাতনা থানার আইসি কৃপাসিন্ধু বরাদ।
কিন্তু কেন? কী দোষ করেছিলেন তিনি? জানা গিয়েছে, সম্প্রতি থানার মধ্যে এক দলিত যুবককে বেধড়ক মারধর করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ওই পুলিশ অফিসার ও তাঁর কয়েকজন সহকর্মীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ওড়িশা পুলিশের উপরতলার আধিকারিকরা রীতিমতো নড়েচড়ে বসেন।
ঘটনার অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে বুঝতে পেরে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বালিপাতনা থানার আইসি কৃপাসিন্ধু বরাদকে নিজের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেন। সেইমতো ওই পুলিশ অফিসার নিজের থানায় নিজের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেন। পাশাপাশি, ওই থানার সাব ইনসপেক্টর রাকেশ সামালের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, একটি মারপিটের ঘটনায় সরোজ ভোই নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে বালিপাতনা থানার পুলিশ। এরপরই ধৃত ওই যুবকের স্ত্রী ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেন, থানায় বেধড়ক মারধর করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। তাঁর হাঁটু ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই থানার সমস্ত পুলিশ ও অফিসার যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। যুবকের অভিযোগ, থানায় এনে তাঁকে আইসি-সহ ৫-৬ জন পুলিশ বেধড়ক মারধর করেন। এরপরই ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে নিজের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেন। সেইমতো মামলা রুজু হয়েছে। বর্তমানে সহকারী পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এক অফিসার ঘটনার তদন্ত করছেন।
আরও পড়ুন:হিম্মত থাকলে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বলা শব্দগুলো গুজরাটেও বলুন:কুণাল ঘোষ













































































































































