রাজ্যের ঋণের টাকা আটকাতে ফের ‘বাংলা বিরোধী’ ভূমিকায় শুভেন্দু, পাল্টা তোপ তৃণমূলের

0
1

রাজ্যের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বাধা দিতে সদা সক্রিয় থাকেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকাতে সক্রিয় হয়েছিলেন তিনি। এবার রাজ্যের ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণের আবেদন যাতে গ্রাহ্য না হয় তার জন্য রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে আবেদন জানালেন বিজেপি(BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী নেতার এহেনও ‘বঙ্গ বিরোধী’ ভূমিকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুভেন্দুর এহেন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শাসক দল তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘হিংসা নামক রোগের কোনও চিকিৎসা হয় না।’

শুক্রবার রাজ্যে দিনের টাকা আটকাতে এক টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। টুইটারে তিনি লেখেন, আরবিআইয়ের কাছে রাজ্য সরকার ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেছে। কারণ হিসেবে রাজ্য সরকার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কথা বলেছে। রাজ্যের মাথায় ইতিমধ্যে ৬ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে। ঋণ নেওয়ার সীমা ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের কোষাগার থেকে অর্থ কর্মীদের বেতন, লক্ষীর ভাণ্ডারের জন্য খরচ করা হয়েছে। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় সংস্থাগুলোতে অনেক ভুয়ো কর্মী রয়েছেন। এছাড়াও লক্ষীর ভাণ্ডারে যাঁরা অর্থ পান, কেউ তার যোগ্য নন। এরপরই তার আবেদন, রাজ্য সরকারের এই ঋণের আবেদন যেন রিজার্ভ ব্যাংক গ্রহণ না করে। টুইটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ও আরবিআইকে ট্যাগ করে শুভেন্দু অনুরোধ করেন, এই ঋণ যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার না পায়।

শুভেন্দুর বক্তব্যের পাল্টা দিয়ে তৃণমূল সংসদ শান্তনু সেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বাংলা বিদ্বেষী বাঙালি বিদ্বেষী বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর লোডশেডিং এ জেতা শুভেন্দু অধিকারী, নিজে টাকা নিয়ে ধরা পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠে ছুরি মেরে বিজেপিতে গেছেন। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এর আগেও বাংলা যাতে টাকা না পায় তার জন্য বিজেপি নেতারা দিল্লিতে গিয়ে বার বার তদ্বির করেছেন। আমি এই সমস্ত বিজেপি নেতাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ভারতের ঋণের পরিমাণ কত আপনারা সেটাও বলুন। একজন ডাক্তার হিসেবে আমি বলব সমস্ত রোগের চিকিৎসা হয় কিন্তু হিংসার কোনও চিকিৎসা হয় না।