ভবানীপুরের পর এবার জগদ্দল (Jagaddal),রাজ্যে ফের ডেঙ্গিতে (Dengue)আক্রান্ত হয়ে মৃ*ত্যুর ঘটনা ঘটল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West bengal Health Department)সূত্রে খবর বুধবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয় মৃ*ত্যু হয় জগদ্দলের বছর ৫৫-এর দীনবন্ধু ঘোষের। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা যায় সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শারীরিক সমস্যা নিয়ে বেলেঘাটা আইডি (Beleghata ID Hospital) ভর্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এর আগেও ভবানীপুরে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয় মৃ*ত্যু হয় এক প্রসূতির। প্রাক শীতের মরসুমেও ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে না আসায় চিন্তা বাড়ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। অন্যদিকে, হাবরা হাসপাতালে (Habra Hospital) ডেঙ্গিতে মৃ*ত্যু হয় মসলন্দপুর ঘোষপুরের বাসিন্দা প্রতিমা মন্ডলের।
রাজ্য জুড়ে ফের বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। উৎসবের মরসুম প্রায় শেষের পথে কিন্তু ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এবং মৃ*ত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে কলকাতা পুর এলাকাগুলিতে। পুরসভার তরফ থেকে বারবার সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর পরও ডেঙ্গির এই পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের মানুষের মনেও। ডেঙ্গির ৪ টি ভ্যারিয়েন্ট নিয়েই উদ্বেগ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। যার জেরে দফায় দফায় একাধিক মিটিং করা হয়েছে। বছরের একেবারে শুরুর দিকে ‘ডেঙ্গি ২’ ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন বেশি। রাজ্যের ‘স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন’-সহ অন্যান্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় ‘ডেঙ্গি ৩’-এর দাপট চোখে পড়ে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও সেরোটাইপিং পরীক্ষায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ডেঙ্গি রোগীদের মধ্যে ‘ডেঙ্গি ৩’- এ আক্রান্ত হওয়ার হার ছিল প্রায় ৬০%। কিন্তু এই ছবিটাও প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে, ফলে চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু কেন এই রোগের এত বাড়বাড়ন্ত? বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার পাশাপাশি অপরিকল্পিত নগরায়ণও এই ডেঙ্গির সাম্রাজ্য বিস্তারের অন্যতম কারণ। সব মিলিয়ে চিন্তা বাড়ছে রাজ্যের।