ভাইফোঁটার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বিশেষ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভনকে ভাইফোঁটাও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারও “দিদি” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ভাইফোঁটা নিয়ে আপ্লুত শোভন।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ মমতার বাড়িতে সময় কাটানোর পর হাসিমুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বাইরে আসেন শোভন-বৈশাখী। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আহ্লাদে আটখানা হয়ে শোভন বললেন, “টস হয়ে গিয়েছে, গ্লাভস পরে ক্রিজে নামার অপেক্ষা।” আমন্ত্রণ কী কালীঘাট থেকে গিয়েছিল, নাকি আপনারা নিজেরাই চলে এলেন। শোভনের উত্তর, “এই দিনের জন্য আলাদা করে আমন্ত্রণ হয় না। আজকের দিনে দিদির কাছে আসব, এটা আলাদা করে কী বলব। দিদি ও আমার মধ্যে একান্তে কথা হয়েছে। দিদি যা সিগন্যাল দেওয়ার বা যেটা বলেছেন, তার বাস্তবায়ন করব। দিদির ভালোবাসা, স্নেহ সেটা অনেক সময় অনেকভাবে ক্যালকুলেশন করা হয়। বাস্তবটা কী সেটা আমিই জানি।”
খুশিতে ডগমগ হয়ে বৈশাখীর সহাস্য জবাব, “অভিমানের মেঘ কেটে গেছে। দিদির মমত্ব আবারও দেখা গেল। শোভন মমতাদির খুব আদরের। ওঁদের দু’জনের পারস্পারিক টানটা খুবই মজবুত। এতে আমি খুশি। শোভনকে দিদি কোনও দিনই নিষ্ক্রিয় ভাবেন না। ওকে সবসময়ই কাজ করতে বলেন। আমার মনে হয় দিদির সঙ্গে শোভনের সম্পর্ক এক জায়গাতেই ছিল। কিন্তু কিছু ভুল বোঝাবুঝির দেওয়াল তুলেছিল, সেটা ধ্বংস হয়েছে। ভাল লাগছে। শোভনের এবার সরাসরি রাজবনীতিতে ফেরা উচিত।”
অন্যদিকে, ভাইফোঁটার দিন শোভন চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সব বিষয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক চাই না। আমার নিজের একটা রাজনৈতিক ক্ষেত্র দিদি করে দিয়েছেন। ২০১৮ সালে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনীতির কেরিয়ার শেষ হয়েছে। ৪ বছর পর সক্রিয় রাজনীতিতে আসবেন কী আসবেন না সময় বলবে।”