ভাইফোঁটায় শ্রমজীবী ক্যান্টিনে বিমান, সোনাগাছিতে শাড়ি নিয়ে মদন, দিদির বাড়ি দিলীপ

0
3

হাজার ব্যস্ততা ও রাজনৈতিক কর্মসূচির মাঝেও ভাইফোঁটার দিনটি একটু অন্যভাবে কাটালেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা (Political personality) । কোথাও নেত্রীরা নেতা ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে ফোঁটা দিয়েছেন, আবার কোথাও নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের বোন-দিদিদের বাড়ি গিয়ে ফোঁটা নিয়েছেন।

আজ, বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা নিলেন সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা তথা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu)। সকাল সকাল তিনি যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিনে চলে যান। সেখানেই তিনি ভাইফোঁটা নেন। আগে থেকেই যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিন প্রস্তুত ছিলেন। ছোট থেকে বড় সবাই প্রিয় নেতাকে ভাইফোঁটা দেন। ঊলুধ্বনিতে ভরে ওঠে যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিন। বিমানবাবু বোনদের কাছ থেকে উপহার পেলেন চকোলেট। বিলিয়েও দিলেন সেই চকোলেট। কমিউনিস্ট পার্টির অশীতিপর নেতা বিরোধী পক্ষের শীর্ষ নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্দেশে সৌজন্যমূলক ভাবে বলেন বললেন, “ভাইদের ফোঁটা দিন, সকলের জন্য শুভকামনা আশা করি।”

অন্যদিকে, ভাইফোঁটার সন্ধ্যায় সোনাগাছিতে (Sonagachi) হাজির তৃণমূল নেতা তথা কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। সেখানকার যৌ*নকর্মী বোনদের থেকে ফোঁটা নেন তিনি। উপহার হিসেবে বোনদের হাতে তুলে দেন নিজের পছন্দ করে কেনা শাড়ি ও কিছু অর্থ। সকলের সঙ্গে মিষ্টি মুখও করেন তৃণমূলের (TMC) রঙিন নেতা।

অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামে দিদির বাড়িতে ফোঁটা নিতে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “বহুদিন পর দিদির সাক্ষাৎ পেলাম। ভাই-বোন একত্রিত হওয়ার আবেগটাই আলাদা। আজকের কর্মব্যস্ত জীবনে সকলেই ছুটছে। তবু সবাইকে অনুরোধ করব সময়বার করে অন্তত আজকের দিনটা নিজেদের ভাইবোনদের সঙ্গে কাটান।” ফোঁটার নেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। পরিবারের সঙ্গে ফ্রেমবন্দিও হয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

আবার বিজেপির সদর দফতরে বুধ ও বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়। সেখানেও বিজেপির বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরাও ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। লকেট ফোঁটা দেন রাহুল সিনহা-সহ উপস্থিত নেতৃত্বকে।