একুশের বিধানসভা ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে হারাতে পূর্ণশক্তি নিয়ে এ রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। কিন্তু পরাস্ত করা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিরোধী হিসেবে শূন্য পেয়েছে বাম-কংগ্রেস। আর সামান্য কিছু আসন নিয়ে কোনওরকমে মুখরক্ষা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
আরও পড়ুন: ক্ষুব্ধ সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি পদের দৌড়ে ছিটকে যেতে পারেন অশোক গেহলট !
কিন্তু তার পর থেকেই হারের জ্বালা মেটাতে যেনতেন-প্রকারেণ একটি নির্বাচিত সরকার ফেলতে মরিয়া বিজেপি। কখনও কুৎসা, কখনও অপপ্রচার আবার কখনও কেন্দ্রের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এজেন্সি কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে বিজেপি।
রাজ্য সরকার ফেলে দেওয়ার এই চক্রান্তে বিজেপি এবার দোসর করল সিপিএমকে। তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলায় বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলা হয়েছে, শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ রাজু বিস্তা। সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ির দলবদলু বিধায়ক তথা অশোকবাবুর একসময়কার ছায়াসঙ্গী শঙ্কর ঘোষ।
সম্প্রতি, তৃণমূল সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের দাবি, বাংলা এবং বিহারের কিছু অংশ নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই চক্রান্তের নেপথ্যে বিজেপি। এই চক্রান্তে বিজেপির সঙ্গী হয়েছে সিপিএম।
সম্প্রতি, সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সিপিএম-কে বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে তাঁরা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ফেলে দেবেন এবং এই কাজে তাঁরা সিপিএমকে সঙ্গে চান। বাম-রামের এমন যৌথ চক্রান্তের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে তৃণমূল।