বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী(Bangladeshi infiltrater) সন্দেহে গ্রেফতার শিশু পুত্রসহ বাংলার এক দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। অভিযোগ ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখানো সত্বেও তাদের জোর করে আটকে রেখেছে সেখানকার পুলিশ। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে গ্রেফতার হওয়া ওই দম্পতির পরিবার।
জানা গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তেলে গ্রামের বাসিন্দা পলাশ অধিকারী। স্ত্রী শুক্লা ও দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তিনি। সঙ্গে বৃদ্ধ বাবা-মাও। কেউ লেপ-তোশক তৈরি করেন, তো বিড়ি বাঁধার কাজ করে উপার্জন করেন। গ্রামে যাঁরা থাকেন, তাঁরা সকলেই গরিব। চলতি বছরের জুন মাসে বাবা-মা স্ত্রী পুত্রসহ এক প্রতিবেশীর সঙ্গে ব্যাঙ্গালুরুতে যান পলাশ। সেখানে লিবেলা এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তারা। অভিযোগ গত ২৭ জুন স্থানীয় বাহাতুর থানার পুলিশ পলাশ সহ ৭ জনকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে ধরে নিয়ে যায়। পলাশ অবশ্য নিজের আধার কার্ড প্যান কার্ড ও ভোটার কার্ড দেখান পুলিশকে। যদিও তারপরও তাদের ছাড়তে অস্বীকার করে পুলিশ। অবশ্য পলাশের বৃদ্ধ বাবা-মা ও প্রতিবেশীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্ত্রী ও পুত্রসহ আটক করে রাখা হয়েছে পলাশকে। বিগত তিন মাস ধরে ব্যাঙ্গালুরুর জেলে বন্দি ওই দম্পতি। গোটা ঘটনায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সক্রিয় হয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, এমন একটা ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এসডিও সাহেব দেখছেন। কোনও যুক্তিতে ওই দম্পতি ও তাঁদের শিশু সন্তানকে বেঙ্গালুরু পুলিশ আটকে রেখেছে? প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিধায়ক আলোক মাঝি। তিনি জানান, ‘পলাশ অধিকারী ও তাঁর পরিবারের আমার বিধানসভা এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণও তাঁদের কাছে রয়েছে’। কালীপুজোর মিটলেই এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করার আশ্বাস দিয়েছেন জামালপুরের বিধায়ক।