বাংলাদেশ সরকারের জরুরি পরিষেবা ৯৯৯। এই নম্বরে ফোন করলে মেলে সরকারি জরুরি পরিষেবা। ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে পড়শি দেশের বহু মানুষ এই পরিষেবার সাহায্য নেন। কিন্তু সম্প্রতি এই পরিষেবা সংক্রান্ত একটি ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী বরিশাল। চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে নিজেই চাইলেন পুলিশি সহায়তা। অবশেষে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধারও করে। কিন্তু বর্তমানে তাঁর জায়গা হয়েছে জেল হেফাজতেই।
চুরি করতে গিয়ে একটি দোকানে আটকে পড়েন চোর। সেইসময় নিজেকে উদ্ধার করতে জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলেও বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের এআরখান বাজার সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। বুধবার বিকেলে ওই ব্যক্তিকে চুরির অভিযোগে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম মো. ইয়াছিন খাঁ (৪১)।
পুলিশ সূত্রে খবর, মো. ইয়াছিন খাঁ চোর। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করছেন তিনি। বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। চুরির টাকাতেই তার সংসার চলে। স্থানীয়রা জানান, চরকাউয়া ইউনিয়নের এআরখান বাজারের ঝন্টু হাওলাদারের মুদি দোকানের ভেতর থেকে বন্দর থানা (সাহেবেরহাট) পুলিশ এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। ওই ব্যক্তি কীভাবে তালাবদ্ধ দোকানে ঢুকেছে সেই সময় স্থানীয়রা কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। পরে স্থানীয়রা জানান, উদ্ধারের পর ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান, চুরির উদ্দেশ্যে তিনি ভোররাতে শাটারের তালা ভেঙে দোকানে ঢুকেছিলেন। কিন্তু মাল চুরি করে ব্যাগভর্তি করতেই রাত গড়িয়ে সকাল হয়ে যায়। এরপর ধীরেধীরে দোকানের সামনে লোকজনের আনাগোনা বেড়ে যায়। ধরা পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে বেধড়ক মার খাওয়ার ভয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান তিনি।
সাহেবেরহাট বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আটক মো. ইয়াছিন খাঁ সকালে জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে জানান, তিনি বিপদের মধ্যে পড়েছেন। তাকে যেন দ্রুত পুলিশ উদ্ধার করে। তবে চুরি করতে গিয়ে তিনি যে আটকে পড়েছেন সেই বিষয়ে ডিউটি কর্মকর্তাকে কিছুই বলেননি অভিযুক্ত ইয়াছিন খাঁ।