ডলার প্রতি আরও পড়ল টাকার দাম। নরেন্দ্র মোদি জমানায় রেকর্ড পতন টাকার দামের। ১ ডলারের মূল্য এখন ৮৩ টাকা ১২ পয়সা। আজ, বৃহস্পতিবার বাজার খোলার সময় ১ ডলারের মূল্য ছিল ৮৩ টাকা ৬ পয়সা। কিন্তু বাজার বন্ধের সময় সেটাই বেড়ে দাঁড়ায় ৮৩ টাকা ১২ পয়সা। অর্থাৎ ৬ পয়সা আরও পড়েছে টাকার দাম।
গতকাল, বুধবার যখন বাজার বন্ধ হয় তখন ১ ডলারের মূল্য ছিল ৮৩ টাকা ২ পয়সা। কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবার বাজার খোলার পর থেকেই টাকার দাম পড়তে থাকে। শেষে বাজার বন্ধের সময় টাকার দাম পড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৮৩ টাকা ১২ পয়সা। এই নিয়ে শুধু চলতি বছরে ১৪ শতাংশ পড়ল টাকার দাম। আর মোদি সরকারের আমলে এখনও পর্যন্ত টাকার দামে পতন ৪২ শতাংশ। বুধবারই প্রথম ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম পড়ে গিয়ে ৮৩-তে ঠেকে। এখন টাকার দামের ক্রমবর্ধমান পতনের জেরে মুদ্রাস্ফীতির একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে নিয়ে ট্রোল অব্যাহত সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি, ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডলারের তুলনায় টাকার দামের পতন নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তা অনেকের কাছেই অদ্ভুত ঠেকেছিল। মার্কিন মুলুকে সাংবাদিকরা মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, আগামী দিনে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে ভারতীয় মুদ্রা? কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “টাকার পতন হচ্ছে না। আসলে ডলার ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে।” বিশ্বের অন্যান্য মুদ্রার থেকে ভারতীয় মুদ্রা তুলনামূলক ভাবে ভাল অবস্থায় রয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন সীতারমন।
উল্লেখ্য, মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এক ডলারের দাম ছিল ৬২ টাকা। সেই সময়েও টাকার দাম পড়ছিল। সেটাকে নিয়ে নির্মলা সীতারমন সেই সময়ে কার্যত মনমোহন সরকারকে ধুয়ে দিয়েছিলেন। তখন নির্মলা জাতীয় মুখপাত্র ছিল বিজেপির। উল্লেখ্য, চলতি বছরে জুলাইয়ের পর অগাস্ট মাসে ফের পতন হয় টাকার দামের। অগাস্ট মাসে টাকার দাম পড়ে গিয়ে ১ ডলারের মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ টাকা ১১ পয়সা। এখন টাকার দামের পতনের জেরে বিদেশ ভ্রমণ এবং সেখানে পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।











































































































































