এজেন্সিগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে বিজেপির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনীতি, অভিযোগ কুণালের

0
12

টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের দাবিকে পর্ষদ অন্যায্য বলে জানিয়ে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বুধবার কোচবিহারে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক  কুণাল ঘোষ বলেন, কিছু দাবি আছে যেগুলো সরকার আইনের সাহায্যে সমাধান করার চেষ্টা করছে। আবার কিছু দাবি আছে, যার আইনে ব্যাখ্যা আসছে না। তারপরও যদি কেউ ধরনায় বসতে চান এবং বিরোধী দলের যদি সেটা পর্যটনের জায়গা হয় , তারা তরুণ তরুণীদের ভুল বোঝান, সেটা নিশ্চিতভাবে দুর্ভাগ্যজনক।

শুভেন্দু অধিকারীর টুইট প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে সস্তা কুরুচিকর টুইট করেছেন। আসলে শুভেন্দু অধিকারী সহ্য করতে পারছে না যে পাহাড় থেকে সাগর প্রতিটি জেলায় প্রতিটি অঞ্চলে বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে যেভাবে মানুষের সাড়া মিলছে, এটা এখন আর শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের বিষয় নয় সাধারণ মানুষ এমনকি অন্য দলের সদস্য সমর্থকরাও এখানে এসে উপস্থিত হচ্ছেন।তাই সহ্য করতে পারছেন না বলে পরশ্রীকাতর শুভেন্দু অধিকারী এই ধরনের টুইট করছেন।আসলে বিজয়া সম্মিলনী গুলো একটা নজীরবিহীন রূপ নিয়েছে।তিনি বলেন, আমরা প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ৫০০টি বিজয়া সম্মিলনী করব। কিন্তু এখন এই সংখ্যাটা বেড়ে এমন জায়গায় পৌঁছেছে, এত মানুষ এতে সামিল হচ্ছেন, এটা এখন আর শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের নয় গোটা বাংলার বিষয়। সর্বস্তরের মানুষ এতে সামিল হচ্ছেন।

আরও পড়ুন- সিঙ্গুর নিয়ে বিরোধীদের মন্তব্যের পাল্টা ধুয়ে দিয়ে কুণাল

মণিপুরে এনআইএ তদন্ত প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল বলেন, বিজেপি পিছনের দরজা দিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। বিজেপির রাজনৈতিক অবস্থান এই এজেন্সি গুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে।

 

তার প্রশ্ন, যারা রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন নিয়ে এত কথা বলছেন তারা দেশের সংবিধানটা সংশোধন করে নিজেদের রাজ্যগুলোতেও অন্য একটা বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারেন তো! যেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে কোন ভোটটা কেন্দ্রীয় বাহিনী করবে আর কোন ভোটটা রাজ্য পুলিশ করবে। এটা তো সরকার তার ইচ্ছামতো করছে না, এটা সংবিধান অনুযায়ী করা হচ্ছে।

কোচবিহারের বড়ভিটা এলাকায় সুরেন্দ্রনাথ বর্মণ আদর্শ বিদ্যাপীঠের নব নির্মিত কক্ষের দ্বারোদ্ঘাটন

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, যখন ত্রিপুরায় পুরভোটে নিজেদের পুলিশ দিয়ে সন্ত্রাস করেছিল তখন কী মনে ছিল না বিজেপির? আর দিলীপ ঘোষ যেটা বলছেন ডামাডোলের কথা সে প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, দিলীপ ঘোষের চোখ দিয়ে যেটা হাতি মনে হচ্ছে তৃণমূলের চোখে সেটা মশা। তৃণমূল কংগ্রেস যখন লড়াই করছে তখন দিলীপবাবু আরএসএস করছেন ,রাজনীতিতে নামেননি। এত ভাল কাজ হচ্ছে এত উন্নয়ন হচ্ছে, এই সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের জীবনের পাশে রয়েছে। যদি কোথাও ভুল থাকে তবে সেটা সংশোধন হচ্ছে। যদি কোথাও মেদ থাকে সেই মেদ ঝরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে দল।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল বলেন,বিজয়া সম্মিলনীতে প্রথমে আমরা মনে করেছিলাম হাজার খানেক লোক হবে। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে তত এক একটি বিজয়া সম্মিলনীতে ৩০- ৪০ হাজার লোক চলে আসছেন। এখনও পর্যন্ত ৮০ লক্ষ থেকে এক কোটি মানুষ এই বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি কুণালের।তৃণমূল কংগ্রেস ও বাংলা আগামী দিনে দিল্লিতে যে কোনও কুৎসা ও চক্রান্তের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও করোনার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ৮ দফায় নির্বাচন করেছে। তারপরও গো হারা হেরেছে এবং তারপর থেকে হেরেই চলেছে। যতবার ভোট আসবে ততবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন হোক, কেন্দ্রীয় বাহিনী হোক, রাজ্যের বাহিনী হোক, বিজেপির কাজ হারার ওরা হারবে।

প্রবীণ সংসদ সৌগত রায়ের টুইট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল বলেন, এত উন্নয়ন হচ্ছে মানুষ এত ভালো কাজ পাচ্ছে । এত পরিষেবা, কিছু জায়গায় আঘাত বার কয়েকজন মানুষ যদি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যায় করেন, ভুল করেন তবে ভুল করলে সংশোধন হচ্ছে। অন্যায় করলে দল ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি যত বড় মন্ত্রীই হোন না কেন কুণালের প্রশ্ন, কারা সমালোচনা করবে? বিজেপি আর সিপিএম? এই বিজেপি ও সিপিএমের জন্য ত্রিপুরায় ১০হাজার৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গেছে ।

তারা সমালোচনা করতে পারেন না। আর ভুল সংশোধন করা হচ্ছে। প্রবীণ নেতা  সৌগত রায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে সতিনি বলেন, সৌগত রায় বর্ষীয়ান সাংসদ, নেতা। তার মতো যারা আত্মসমালোচনা করছেন এর মধ্যে দিয়ে দলকে আরও সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, এটা অত্যন্ত ভালো দিক, ইতিবাচক প্রক্রিয়া।

কুণাল চ্যালেঞ্জ করে বলেন, শুভেন্দু অধিকারী টুইটে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী এবং দলকে ও সরকারকে আক্রমণ করছেন। উনি একটা টুইট করুন যেখানে অধিকারী পরিবার সরকারি, প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিকভাবে কটি পদ কটি দায়িত্বে ছিলেন।

বিজয়া সম্মিলনীতে বিক্ষোভ দেখানো প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ওটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে যে বিরাট প্রক্রিয়া চলছে সেখানে এই ঘটনাটা নেহাতই তুচ্ছ। দল বিষয়টির দিকে নজর রাখছে।