এক দেশে বিভিন্ন আইন জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থী। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে শীর্ষ আদালতে পেশ করা প্রথম হলফনামায় এমনটাই জানালো কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির সমর্থনে একাধিক যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে এই হলফনামাতে।

সংবিধানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রয়েছে ৪৪ অনুচ্ছেদের অধীনে। সেখানে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ব্যক্তিগত আইন প্রবর্তণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেন, দত্তক গ্রহণের মতো ব্যক্তিগত বিষয়গুলি রাখা হয়েছে। এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছিল একাধিক মামলা। যার প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। সময় দেওয়া হয় তিন সপ্তাহ। তার ভিত্তিতেই এদিন কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামা পেশ করল।
এই হলফনামাতে সরকারের তরফে সর্বোচ্চ আদালতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করে দায়ের করা আবেদনগুলির বিরোধিতা করা হয়েছে। সরকার বলেছে এটি একটি নীতিগত বিষয়। যেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ। এব্যাপারে আদালত সংসদকে আইন তৈরির নির্দেশ দিতে পারে না। যে কোনও বিষয়ে আইন প্রণয়নের সার্বভৌম অধিকার সংসদের রয়েছে বলেও জানিয়েছে সরকার। সেই কারণে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা আবেদনগুলি খারিজ করা উচিত বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সরকারের তরফে।
উল্লেখ্য, বেশিরভাগ ধর্মেই ব্যক্তিগত আইন রয়েছে
এব্যাপারে উল্লেখ করা যেতে পারে ব্যক্তিগত আইন মানুষের বিশ্বাস এবং ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি করা। বেশিরভাগ ধর্মেই আলাদা আলাদা ব্যক্তিগত আইন রয়েছে। যা নিজ-নিজ ধর্মের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।















































































































































