আসন্ন পার্টি কংগ্রেসে(Party Congress) আরও ৫ বছরের জন্য শি জিনপিংয়ের(Shi jinping) ক্ষমতা দখল কার্যত নিশ্চিত। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে চিনে(China) শুরু হল প্রতিবাদ। রাস্তায় রাস্তায় পড়ল পোস্টার যেখানে কমিউনিস্ট শাসনের বিরোধিতা করে শিকে সরানোর দাবি তোলা হয়েছে।

চিনের একটি সড়কের ফ্লাইওভারের ওপর একটি বড় ব্যানার লাগানো হয়েছে। তাতে লেখা আছে আন্দোলনে নামো সকলে। স্বৈরাচারী ও বিশ্বাসঘাতক শি জিনপিংকে সরিয়ে দাও। এমন জিনপিং বিরোধী পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছে। এখন পর্যন্ত চিনে পরিষ্কার নয় যে এই প্রতিবাদ কে করছে। প্রতিবাদকারীর পরিচয় সম্পর্কে কিছুই স্পষ্ট নয়। তবে যে সকল পোস্টার প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, “করোনা পরীক্ষাকে না বলুন, খাদ্যের অধিকারকে হ্যাঁ বলুন। লকডাউন নয়, স্বাধীনতাকে আলিঙ্গন করুন। সাংস্কৃতিক বিপ্লব নয়, সংস্কার চাই। আমাদের মহান নেতা চাই না, ভোটাধিকার চাই। ক্রীতদাস না হয়ে নাগরিক হন।” পাশাপাশি আরও একটি পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, “ধর্মঘট ডাকুন। একনায়ক ও বিশ্বাসঘাতক শি জিনপিংকে সরিয়ে দিন।”
জায়গায় জায়গায় এহেন পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পর সতর্ক হয়ে উঠেছে চিন প্রশাসন। ওই সকল পোস্টার সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে একাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পোস্টার সরালেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে ওঠে। যদিও চিনে প্রচলিত সমস্ত সমাজমাধ্যম থেকে এই পোস্টারের ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়। এই পোস্টারগুলির সমর্থন করা বেশ কিছু টুইটার হ্যান্ডলকেও সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১২-য় জিনপিং প্রথম বার ক্ষমতায় আসেন। আসন্ন পার্টি কংগ্রেসে তিনিই যে আরও ৫ বছর দেশ ও পার্টির দায়িত্ব পেতে চলেছেন, তা নিয়ে কারও মনেই বিশেষ কোনও সন্দেহ নেই। যদিও কঠোরতম করোনা বিধির বিরোধিতা করে তার মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে পোস্টার পড়ল বেজিং শহরে। যা চিনের কমিউনিস্ট পার্টির মাথাব্যথা বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট।












































































































































