রোগীর পরিবারের নানা অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বহরমপুরের (Baharampur) নার্সিংহোম চত্বর। রোগীর পরিবারের হাতে হেনস্তার শিকার হলেন মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH)। এই ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। বহরমপুরের বেসরকারি নার্সিংহোমের এক রোগীকে ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। নার্সিংহোম চত্বরে থেকে সেই অশান্তির রেশ পৌঁছে যায় সিএমওএইচ অফিসে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সেই রোষের শিকার হন । খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পৌঁছে উদ্ধার করে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ স্যান্যালকে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবি তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen)।
বহরমপুর থানার বুটারডাঙা এলাকার বাসিন্দা গোলবাহার শেখ পেটে ব্যথা নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মাস চারেক আগে। সেখানে তাঁর অ্যাপেনডিক্স (Apendix) অপারেশন করা হয়। কিছুদিন পরে তাঁর পেটে সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখানে ফের তাঁর অপারেশন হয়। গোলবাহার শেখের পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এসব অপারেশন বাবদ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার বিল দিয়েছে, যা তাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে রোগীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এই সমস্ত অভিযোগ তুলে প্রচুর লোকজন সঙ্গে নিয়ে বহরমপুর সিএমওএইচ অফিসে হাজির হন। সেই অভিযোগকে ঘিরে সিএমওইচ-কে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কোনওক্রমে উদ্ধার করা হয় সন্দীপবাবুকে।













































































































































