“দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে, চিনতে পেরেছি-চিহ্নিতও করেছি”! কাকে ইঙ্গিত করলেন তাপস রায়?

0
1

তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। চক্রান্ত করছে দলেরই কেউ কেউ। তাঁদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহানুভবতার সুযোগ নিয়ে দলের মধ্যে থেকেই অনেকে দলের ক্ষতি করেছে। আজ, মঙ্গলবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। সরাসরি নাম না নিলেও, সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে মূলত দলেরই এক সিনিয়র সাংসদের বিরুদ্ধে তাপস রায়ের এমন অভিযোগ। কার দিকেই বা ইঙ্গিত করলেন তিনি? রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

এদিন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত বোমা ফাটান। তাঁর কথায়, “এই মুহূর্তে আমাদের দলের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত চলছে। একটা কঠিন সময় চলছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহানুভবতার সুযোগ নিয়ে অনেকে দলে থেকে দলেরই ক্ষতি করেছে। আমাদের দলে ডিভাইডেড লয়ালিস্ট আর ডেডিকেটেড লয়ালিস্ট আছে। ডেডিকেটেড লয়ালিস্টদের সামনে আনা প্রয়োজন। তাদের সিক্রেট কথাবার্তায় রাখতে হবে। না হলে দল নানা অসুবিধা ফেস করবে।”

তাপস রায় আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করে জানান, এই সময়কার রাজনৈতিক মহল দেখে তাঁর মনে হয়েছে, অনেকেই একাধিক জনের বা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। যা অবিলম্বে দলের খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা উচিৎ। তৃণমূলের কোটি কোটি সমর্থক। তারাই দলের প্রকৃত সম্পদ। কিন্তু কয়েকজন স্বার্থপর দলকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে। এদের নাম প্রয়োজনে সামনে আসবে। এরা দলের বোঝা, এরা সম্পদ নয়। দলের পক্ষে ক্ষতিকর। কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে নেতারাও সেটা জানেন।

তমোঘ্ন ঘোষ ইস্যুতে তাপস রায় খুব তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি স্পষ্ট বলেন, “ছাত্র পরিষদের জন্য তমোঘ্নকে দিদিমণির সামনে নিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ওর বাবা তপন ঘোষ সাংসদের সচিব। কে যে কার ব্যক্তি স্বার্থে কী করেন সেটা দেখার। সকলেই সব জানে। তমোঘ্নদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়, সেখানে শুভেন্দু-সুদীপ-কল্যাণ চৌবে গিয়েছিলেন। সবাই সব খোঁজ রাখেন। দলকে এখন দেখতে হবে, কাদের কাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমি ৫১ বছর ধরে রাজনীতি করছি। অনেক কিছু দেখেছি। অনেক কিছুই জানি। আমি কিন্তু চিনতে পেরেছি, চিহ্নিতও করেছি।”