মিষ্টিমুখে একটাই চাওয়া, সবাই যেন মিষ্টি থাকে”, দশমীতে রাজ্যবাসীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

0
1

গত দু’বছরের করোনা মহামারি কাটিয়ে ফের ছন্দে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। বৃষ্টির চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেও পুজোর দিনগুলিতে মণ্ডপে মণ্ডপে উপচে পড়েছে ভিড়। এ বছরই আবার বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর কালচারাক হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। যা শুধু বাংলা নয়, গোটা বিশ্বের

বাঙালির কাছে গর্বের। তাই ইউনেস্কোকে কৃতজ্ঞতা-ধন্যবাদ জানিয়ে গত পয়লা সেপ্টেম্বর পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে কলকাতার রাজপথে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা করে উৎসবের ঢাকে একমাস আগেই মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং কাঠি দিয়েছিলেন। খুব সাফল্যের সঙ্গে এবার গোটা বাংলাজুড়ে শারদ উৎসব পালিত হয়েছে। আজ দশমী। এবার নিরঞ্জনের পালা।

”সবাই যেন মিষ্টি থাকে…”, দশমীতে রাজ্যবাসীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এক ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের সকলকে জানাই শুভ বিজয়া, দসেরা। বিশেষ করে মাতৃপুজোর আরাধনা। নিশ্চয়ই দশমীতে আমাদের মনখারাপ হয়। কিন্তু মা আবার আসবেন বলে আমরা উৎসাহিতও হই। এটা মা’র চলে যাওয়া নয়। মা আমাদের হৃদয়ের মধ্যেই থাকেন। তাই মিষ্টিমুখে একটাই চাওয়া, সবাই যেন মিষ্টি থাকে। সবাই যেন ভালো থাকে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা সবাইকে।”

রীতি অনুযায়ী, দশমী থেকেই শুরু হয় দেবী দুর্গার নিরঞ্জন। এই দিনেই শুভ বিজয়ার প্রীতি-শুভেচ্ছা জানানোর পালা। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর ঘরের মেয়ে উমা কৈলাসে ফিরে যাওয়ার আগে শিব-ঘরণীকে বরণ করে নেওয়ার রেওয়াজ আছে ।মহিলাদের। একে অপরের সঙ্গে মেতে ওঠেন সিঁদুরখেলায়। দশমীতে সিঁদুরখেলা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে। এরপর হয় প্রতিমার কাঠামোর আনুষ্ঠানিক বিসর্জন।