‘লড়াই করতে যায়নি, অনুরোধ রেখেছিলাম,’ কন্ডোম বিতর্কে জানালেন পড়ুয়া

0
2

স্কুলে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল বিহারের স্কুল ছাত্রী রিয়া কুমারী। এই অনুরোধ শুনে এক আমলা তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘এর পর তো তুমি কন্ডোম চাইবে।’’ ওই ছাত্রীর অনুরোধে আমলার ওই বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলল বিহারের ওই পড়ুয়া।

আরও পড়ুন:নিউটাউন এনকাউন্টার: ফ্ল্যাটে ব্যবহৃত কন্ডোম, সিসিটিভি ফুটেজে দুই রমণীর হদিশ

সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়া জানায়, “আমার প্রশ্ন একেবারেই ভুল ছিল না। এগুলো এমন কিছু দামি জিনিস নয়। আমি কিনতে পারি। কিন্তু এমন অনেকে আছে, যারা বস্তিতে থাকেন এবং তাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার সামর্থ্য নেই। তাই, আমি সব মেয়েদের হয়েই আমলার কাছে এই অনুরোধ রেখেছিলাম। আমি শুধুমাত্র নিজের উদ্বেগটুকুই প্রকাশ করেছি, লড়াই করতে যাইনি।”

ঠিক কী ঘটেছিল? সম্প্রতি বিহারে ইউনিসেফের সহযোগিতায় একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে ওই ছাত্রী অনুরোধ করেন যে, সরকার তাদের বিনামূল্য সাইকেল, স্কুলের পোশাক দিচ্ছে। এর পাশাপাশি বিনামূল্য স্যানিটারি ন্যাপকিনও যেন দেওয়া হয়। ছাত্রীর এ হেন আর্জি শুনে হরজ্যোত কউর ভামরা নামে এক আমলা পাল্টা ছাত্রীকে বলেন, ‘‘বিনামূল্যে জিনিস পাওয়ার কোনও সীমা নেই। সরকার অনেক কিছু দিচ্ছে। আজ তুমি বিনামূল্যে ন্যাপকিন চাইছ। কাল হয়তো জিনস, জুতো চাইবে। তার পর যখন পরিবারের পরিকল্পনা করবে, তখন বিনামূল্যে কন্ডোমও চাইবে।’’ আমলার এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্কুল পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ, সরকার তাদের জন্য কিছু করছে না। ভোটের সময় তাদের কাছে আসে। এ কথা শুনে ওই আমলা বলেন, ‘‘তা হলে ভোট দিও না। পাকিস্তানের মতো হও।’’

এদিকে কন্ডোম বিতর্কের ভিডিও ভাইরাল হতেই সর্বসমক্ষে ক্ষমা চেয়েছেন হরজোৎ কউর ব্রহ্ম নামের ওই সরকারি আমলা। তিনি একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, “দু’দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আমার মন্তব্যের জন্য আমি ভীষণই দুঃখিত। সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”যদিও ওই আমলাকে ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠিয়েছে  জাতীয় মহিলা কমিশন। ঘটনায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।