খাদ্যপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ! পুজোর মুখে ধর্মঘটে সামিল কলকাতার ডেলিভারি বয়রা

0
1

পুজোর (Durga Puja 2022) সময় হাত পুড়িয়ে রান্না করে খেতে কারই বা ভালো লাগে? পুজোর কটা দিন রাতভর ঠাকুর দেখা থেকে শুরু করে সাজগোজ, সকাল থেকে রাত অবধি প্যান্ডেল হপিং (Pandal Hopping) সবকিছু নিয়ে এমনিতেই সেলিব্রেশন (Celebration) মুডে চলে যান রাজ্যবাসী। তাই কয়েকটা দিন হাত পুড়িয়ে রান্না করতে কারোরই ভালো লাগে না। সারা সারাবছরই হেঁশেল সামলাতে হয় গৃহিণীদের। যারা ফ্যামিলি ছেড়ে বাইরে থাকেন, যারা বন্ধুদের সঙ্গে পুজোর কয়েকটা দিন আড্ডা, আনন্দে মেতে ওঠেন তাঁদের পক্ষে রান্না করে খাওয়া এইসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। পুজোর কয়েকটা দিন বন্ধু বা পরিবার পরিজনদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় (Restaurant) খাওয়াদাওয়া মাস্ট। তবে যারা রেস্তোরাঁয় খেতে যান না তাঁদের কাছে একমাত্র ভরসা ফুড ডেলিভারি অ্যাপ (Food Delivery App)। মোবাইল হাতে একটা ছোট্ট ক্লিকেই বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় খাবার। কিন্তু পুজোর মুখে দুঃসংবাদ শোনাল ফুড ডেলিভারি সংস্থা। বৃহস্পতিবার থেকেই ধর্মঘটে সামিল হলেন কর্মীদের একাংশ।

কয়েক মিনিটের মধ্যে মুখের সামনে যারা খাবার পৌঁছে দেন তাঁদেরই বর্তমানে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। সেকারণেই কর্মচারীরা চান তাঁদের দিকটাও একটু দেখুক অ্যাপ কর্তৃপক্ষ। সকলের মুখে খাবার পৌঁছে দিলেও তাঁদের মুখে দু’বেলা, দু’মুঠো খাবার জোগাতে হিমশিম অবস্থা। পরিবারের অবস্থাও আশানুরূপ নয়। অন্যদিকে, পুজোয় ডিউটির কোনও সময় থাকে না। রাতভর চলে এক ঠিকানা থেকে অন্য ঠিকানায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ। কিন্তু দিনের শেষে যোগ্য প্রাপ্য পান না কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media Post) পোস্ট করে আন্দোলনে নেমেছেন কর্মীদের একাংশ। কর্মীদের অভিযোগ, দিনে ১২-১৩ ঘণ্টা কাজ করলেও তাঁরা বাড়ি নিয়ে যান বড়জোর ৬০০ টাকা। তবে মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেই আয় আরও কমেছে।

সম্প্রতি তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি আবেদন জানায় কর্মীরা। ডেলিভারি পিছু ন্যূনতম প্রাপ্য ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করতে হবে এবং অতিরিক্ত কিলোমিটার পিছু ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা দিতে হবে তাঁদের। তবে এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। ডেলিভারি অ্যাপের কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁদের কোনরকম দাবিই মানেনি সংস্থা। আর সেকারণেই পুজোর কয়েক ঘণ্টা আগে ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মীরা।

তবে ফুড ডেলিভারি অ্যাপের কর্মীদের এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্রেতারা। তাঁদের মতে পুজোর মুখে কর্মীদের এমন সিদ্ধান্তে বেশ বেকায়দায় পড়তে হবে তাঁদের। তবে খুব শীঘ্রই এই সমস্যা মিটে যাবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন অ্যাপ নির্ভর ক্রেতারা।