দেশজুড়ে যেভাবে তল্লাশি অভিযান (Search Operation) চলছিল তাতে জল্পনা ক্রমশই বাড়ছিল। অবশেষে কেন্দ্রের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হল পপুলার ফ্রন্টকে (PFI) নিষিদ্ধ করার কথা। বেআইনি কার্যকলাপ আইনের অধীনেই পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (Popular Front of India) সংগঠনকে নিষিদ্ধ (Banned) বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৫ বছরের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (PFI) নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি তুলেছিল একাধিক রাজ্য। বেআইনি কার্যকলাপের পাশাপাশি নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মদত দেওয়ার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। দেশজুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার দপ্তর এবং নেতাদের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এনআইএ (NIA) এবং ইডি (ED)। এক যোগে এই তল্লাশিতে বহু চাঞ্চল্যকর নথি এবং তথ্য হাতে এসেছে বলেও দাবি করে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই মনে করা হচ্ছিল যে পিএফআই-এর বিরুদ্ধে ব্যান-এর সিলমোহর দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বুধবার ভোরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াকে আপাতত ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু পিএফআই-ই নয়, এরসঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন যেমন সিএফআই (CFI), অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (RIF), ন্যাশনাল ওমেন্স ফ্রন্টকেও (NWF) বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সমস্ত সংগঠনকেই নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
২২ সেপ্টেম্বর এবং ২৭ সেপ্টেম্বর কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু-সহ একাধিক রাজ্যে পপুলার ফন্ট অফ ইন্ডিয়ার বিভিন্ন দফতরে এবং নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনআইএ (NIA)এবং ইডি(ED)। প্রথম দফার তল্লাশিতে অন্তত ১০৬ জন পিএফআই কর্মী ও নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২৭ সেপ্টেম্বর যে দ্বিতীয়বার তল্লাশি হয় তাতে ২৪৭ জন পিএফআই কর্মীকে আটক করা হয়েছিল।