রাজস্থান কংগ্রেসে সঙ্কট অব্যাহত, খাগড়ে-মাকেনের সঙ্গে দেখাই করলেন না বিদ্রোহী বিধায়করা

0
1

মরুরাজ্য রাজস্থানের কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বছর দুই আগেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল আকার ধারণ করেছিল। শচীন পাইলট গোষ্ঠীর বিদ্রোহে অশোক গেহলট সরকার কার্যত পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সোনিয়া-রাহুল ময়দানে নেমে কোনওরকমে তা সামাল দিয়েছিলেন। রাজস্থান কংগ্রেসের আকাশে ফের বিদ্রোহের মেঘ।

সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন অশোক গেহলট। কংগ্রেসের উপর থেকে পরিবারতন্ত্রের তকমা মুছতে এবার গান্ধী পরিবার থেকে কেউ সভাপতি নির্বাচনে নেই। গান্ধী পরিবারই চাইছে গেহলট সভাপতি হোন। তবে গান্ধী পরিবারের হাত থেকে দলের ব্যাটন তাঁর হাতে গেলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে গেহলটকে এমন সম্ভাবনাও জোরালো হয়েছে। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে শচীন পাইলট। গেহলট শিবির চাইছে কংগ্রেস সভাপতি হলেও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী থাকুন গেহলট। শচীনকে নিয়ে অসন্তুষ্ট দল ও মন্ত্রিসভার একাংশ। শচীনের নাম মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আলোচিত হওয়াতেই গেহলট শিবিরের কমপক্ষে ৯০ জন বিধায়ক অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। যার মধ্যে মন্ত্রিসভার একটি বড় অংশ রয়েছে।
ফলে সরকার পড়ে যাওয়ার জোগাড়। যদিও প্রাথমিকভাবে বিধায়কদের ইস্তফাপত্র বিধানসভার অধ্যক্ষ স্বীকার করেননি।

এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ, সোমবার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মল্লিকার্জুন খাড়গে ও অজয় মাকেনকে জয়পুর পাঠিয়েছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। কিন্তু বিক্ষুব্ধ বিধায়করা তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা দিল্লি ফিরে আসছেন বলে খবর।

সূত্রের খবর, বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অজয় মাকেন ও মল্লিকার্জুন খাড়গে দীর্ঘক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী নিবাসে বৈঠক করেন। কিন্তু বিধায়করা শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করলেও হাইকমান্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। ফলে মরুরাজ্যে আচমকা এই সমস্যা সমাধান করতে কংগ্রেস নতুন কী কৌশল নেয়, এখন সেটাই দেখার।