স্থায়ীকরণ সহ সাত দফা দাবিতে SBSTC-র অস্থায়ী বাস কর্মীদের কর্মবিরতি আজও অব্যাহত। যার জেরে উৎসবের মরশুমে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। দুর্গাপুর থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে ঝাড়গ্রাম, সর্বত্রই গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ।দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন: এবার ভারত থেকে রুপিতে পণ্য আমদানির দাবি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের

আজ ষষ্ঠ দিনে পড়ল দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি। সেই সঙ্গে পুজোর মুখে, ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছোল যাত্রীদের ভোগান্তির ছবিটা।দুর্গাপুর ডিপো থেকে ধর্মতলা, করুণাময়ী রুটে বাস চলাচল শুরু হলেও অন্য জেলার বাসের দেখা নেই। দুর্গাপুরে SBSTC-র ডিপো থেকে প্রতিদিন যেখানে ৭০-৮০টি বাস ছাড়ে, সেখানে এখন কর্মীর অভাবে ছাড়ছে ১৫-২০টি বাস। বাঁকুড়ায় SBSTC ডিপোর গেটে, অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ১৬০ জন অস্থায়ী বাস কর্মী। প্রতিদিন যেখানে গড়ে ৩০টি বাস চলত, সেখানে চলছে ৩টি বাস। পুরুলিয়া, বর্ধমান, বীরভূমেও ভোগান্তির ছবিটা একই। অস্থায়ী বাস কর্মীদের আন্দোলনের জেরে অচল বাস পরিষেবা। দুর্ভোগ এড়াতে অনেকেই ট্রেন ধরছেন। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন রুটে তো বটেই উত্তরবঙ্গের একাধিক রুটেও ওই সংস্থার অধিকাংশ সরকারি বাসের চাকা থমকে। পুজোর সময় অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলন সরকারি পরিবহণ সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।

প্রসঙ্গত, বর্ধমান, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুর, আসানসোল। বিভিন্ন ডিপো থেকে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার শতাধিক বাস চলাচল করে। শুধু জেলার মধ্যেই নয়, কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম ভরসা এই বাসগুলিই। প্রতিদিন গড়ে বিভিন্ন ডিপো থেকে গড়ে ৫০ থেকে ৩০ টি বাস ছাড়ে। আন্দোলনের জেরে কার্যত ৯০ শতাংশ বাসের চাকাই থমকে। যার জেরে পুজোর সময় যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে।









































































































































