খিদের জ্বালায় ছটফট করার শাস্তি! গলা টিপে শিশু খু*নে অভিযুক্ত পিসেমশাই

0
1

শান্তিনিকেতনের পর সোনারপুর। ফের শিশুর ওপর অত্যাচারের জেরে প্রাণ গেল চার বছরের শিশুর। খিদের জ্বালায় কান্নাকাটি করার শাস্তিতে হিসাবে মদ্যপ পিসেমশাইয়ের বেধড়ক প্রহারে মৃত্যু হয় বছর চারেক ওই শিশুর। তিন বছরের আরেকটি শিশু আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার বেনেবউ গ্রামের লস্করপুরে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পিসেমশাই প্রসেনজিত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:কর্মীর সঙ্গে প্ৰতিবেশির পরকীয়াতে আপত্তি সেলুন মালিকের? শান্তিনিকেতনে শিশু খু*নে চাঞ্চল্যকর তথ্য

স্থানীয়দের কথায়,ধৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও তাঁর শ্যালকের স্ত্রী দু’জনেই পরিচারিকার কাজ করেন। গত কয়েকদিন ধরে শ্যালকের বাচ্চা দুটিকে দেখভাল করছিলেন প্রসেনজিৎ। প্রতিদিনের মত সোমবারও পিসেমশাইয়ের কাছে নিশ্চিন্তে রেখে কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁদের মা। অভিযোগ, রাতে নেশা করেছিল প্রসেনজিৎ। সেই সময় আফসারা খাতুন এবং আলিয়া খাতুন নামে ওই দুই শিশু তার কাছে খাবার চায়। রেগে যায় প্রসেনজিৎ। এদিকে কান্না শুরু করে ক্ষুদার্থ শিশুদুটি। এরপরই রাগের বশে বাচ্চা দুটোকে তুলে দেওয়ালে তাদের মাথা ঠুকে দেয় ধৃত প্রসেনজিৎ। সেই সঙ্গে বেধড়ক মারধরও করা হয় তাদের বলে অভিযোগ। মারধরের জেরে গুরুতর জখম হয়ে পড়ে দুটি বাচ্চাই। বাচ্চাদুটো যন্ত্রণায় চিৎকার করতেই গলা টিপে চার বছরের আফসারাকে মেরে ফেলে প্রসেনজিৎ।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, বাচ্চাদের আর্তনাদ শুনে ছুটে যায় সকলেই। কিন্তু প্রসেনজিৎকে জিজ্ঞেস করেও সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় দরজা খুলে দেখেন আফসারার নিথর দেহ পড়ে রয়েছে ঘরে। যন্ত্রণায় আর্তনাদ করছে আলিয়া। এরপরই খবর দেওয়া হয় থানায়। আহত শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।