আজ আলিপুর মিউজিয়ামের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

0
1

প্রতীক্ষার অবসান। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের জমিতে নবনির্মিত ‘আলিপুর মিউজিয়াম’ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের জন্য। আজ, বুধবারই এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরা হচ্ছে এই সংগ্রহশালায়। ছবি, লাইট অ্যান্ড সাউন্ডে প্রায় জীবন্ত হয়ে ধরা দেবে ইতিহাস। পুজোর মরসুমে এটি রাজ্যবাসীর জন্য রাজ্য সরকারের উপহার।

আরও পড়ুন:মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা,’আপত্তি’ ছিল না পার্থর, চার্জশিটে দাবি ইডির

১৯০৬ সালে ১৫.২ একর জমিতে এই সংশোধনাগার আত্মপ্রকাশ করেছিল।  বর্ণময় ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী এই কারাগার। স্বীকৃতি পেয়েছে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের। সময়ের হাত ধরে এই ঐতিহ্যশালী স্থানে মিউজিয়াম তৈরির পরিকল্পনা নেয় রাজ্য। সংশোধনাগারের আবাসিকদের পর্যায়ক্রমে  বারুইপুর ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। আলিপুরে মিউজিয়াম তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় হিডকোকে। মিউজিয়ামকে সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য দেওয়ালের একাংশে থাকছে বিশিষ্ট শিল্পীদের আঁকা ছবি। আলো এবং ধ্বনিতে প্রতিটি সন্ধ্যায় ফুটিয়ে তোলা হবে স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাসকে। নেতাজি সুভাষ এবং গান্ধীজিকে নিয়েও থাকছে বিশেষ প্রদর্শনী।

আলিপুর সংশোধনাগারের ভিতরেই রয়েছে নেহরু ভবন, দোতলার নেতাজি ভবন। সঙ্গে আছে চিত্তরঞ্জন দাস, বিধানচন্দ্র রায়ের ব্যবহৃত কুঠুরি। আলিপুর জেলেই ফাঁসি দেওয়া হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী অনন্তহরি মিত্রকে। ফাঁসি হয় প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী, দীনেশ গুপ্ত-সহ অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। সেই ফাঁসির মঞ্চও নতুনভাবে গড়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৫ অগাস্ট রাজভবন থেকে মিউজিয়ামের শেষ মুহূর্তের কাজ দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে মিউজিয়াম ঘুরিয়ে দেখান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ আদিগঙ্গার পাড়ের ১৯০৬ সালে তৈরি হয় এই ভবন। ব্রিটিশ জমানায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, জওহরলাল নেহরু, বিধানচন্দ্র রায়ের কখন না কখন এই জেলে ছিলেন। তাঁদের ব্যবহৃত কুঠুরি ‘হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। কুঠুরিগুলির সামনে তাঁদের নামের ফলক বসেছে। ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখেই এই মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে।