বিধানসভায় গরহাজির ২৭ তৃণমূল বিধায়ক, কড়া ব্যবস্থার পথে দল

0
2

খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) স্পষ্ট নির্দেশ ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে অনুমতি ছাড়া কোনও বিধায়ক যেন অনুপস্থিত না থাকেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর(CM) সেই নির্দেশ অমান্য করে বিশেষ দিনে অনুপস্থিত ছিলেন একাধিক তৃণমূল বিধায়ক। যার জেরেই এবার অনুপস্থিত বিধায়কদের তালিকা প্রস্তুত করে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে তৃণমূল(TMC)। চিহ্নিত বিধায়কদের কৈফিয়ত তলব করে জবাবে অসন্তুষ্ট হলে ‘হলুদ কার্ড’ দেখাবে পরিষদীয় দল। যদিও গোপনে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঠিক কন কারণে তাঁরা মুখ‌্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দলীয় প্রস্তাবের আলোচনা ও ভোটাভুটিতে অংশ নিলেন না।

এবারের বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতেই সকল বিধায়কদের সতর্ক করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, প্রতিদিন বিধানসভায় পুরো সময়ের জন্য হাজিরা দিতে হবে। এবং এটা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন পারিষদীয় মন্ত্রী। তারপরও ইডি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনে ২৭ বিধায়কের গরহাজিরায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ দল। ২১৬ জন তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে ১৮৯ জন ছিলেন উপস্থিত।

এপ্রসঙ্গে দলের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ‌্যায় জানিয়েছেন, “দলকে না জানিয়ে অধিবেশনে গরহাজির বিধায়কদের নামের তালিকা মুখ‌্যসচেতকের কাছে চেয়েছি। প্রত্যেককে ডেকে জানতে চাইব, সভায় হাজির থাকতে মুখ‌্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন? জবাবে সন্তুষ্ট না হলে বিষয়টি নিয়ে মুখ‌্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।” শাসকদলের মুখ‌্যসচেতক নির্মল ঘোষ স্বীকার করেন, “ভোটাভুটি ও অনুমতি নেওয়া এমএলএ, সব মিলিয়ে সংখ‌্যাটি ২০০ পার হচ্ছে না। দলের বিধায়ক তো ২১৬, তা হলে বাকিরা কোথায় ছিলেন?” এরপরই মুখ‌্যসচেতকের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অনুপস্থিতদের বিরুদ্ধে পরিষদীয় দলের তরফে ‘হলুদ কার্ড’ দেখিয়ে ‘এটাই লাস্ট চান্স’ বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হবে।”

এদিকে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য সভায় প্রথমার্ধে এলেও দ্বিতীয়ার্ধে থাকবেন না বলে ফিরহাদ হাকিমকে জানিয়েই ছুটি নেন। পরিষদীয় মন্ত্রী ও মুখ‌্যসচেতককে আরও কয়েকজন ফোনে আগাম জানিয়ে ছুটি নেন। পরিষদীয় মন্ত্রী জানান, অনুমতি নিয়ে অনুপস্থিত থাকা বিধায়কদের সঙ্খ্যাটা বড়জোর ৫ বা ৬ জন। কয়েকজন আবার অসুস্থতা ও চিকিৎসাজনিত নানা কারণে স্পিকারকে চিঠি দিয়ে অনুপস্থিত থাকার অনুমতি নিয়েছেন। তবে একত্রে এতজনের অনুপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ দল।