স্কুলে গুলি সেনার,মায়ানমারে নিহত কমপক্ষে ৬ পড়ুয়ার

0
4

রক্তাক্ত মায়ানমার। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে স্কুলে চলল গুলি। ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৬ পড়ুয়ার। আহত বহু পড়ুয়া।শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মায়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের লেট ইয়েট কোন গ্রামের একটি বৌদ্ধ মঠে ।

আরও পড়ুন:মায়ানমার নিয়ে প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত ভারত-সহ ৩৬টি দেশ

সোমবার স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্য মায়ানমারের সাগাইং প্রদেশের লেট ইয়েট কোন গ্রামে হামলা চালায় ‘টাটমাদাও’ তথা বার্মিজ সেনাবাহিনী। একটি স্কুলে হেলিকপ্টার থেকে প্রচণ্ড গুলিবৃষ্টি করে সেনার হেলিকপ্টার। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ছয় শিশু। আহত কমপক্ষে ১৭। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি’ নামক একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা ওই মঠে বেশ কিছু দিন ধরে লুকিয়ে ছিলেন এবং গ্রামটিকে অস্ত্র লেনদেনের কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করছিলেন। সেনাবাহিনীর তরফে ওই এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার পর জঙ্গিরা স্কুলের ভিতর থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।সেনাবাহিনী আরও দাবি করেছে, এই ঘটনার পর ২০ জন ছাত্র ও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলার পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় নিহতদের দেহ জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে সেনারা। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। নিহতদের ১১ কিলোমিটার দূরে একটি সমাধিক্ষেত্রে কবর দিয়েছে তারা। পরের দিন সেনারা আরও দু’টি মরদেহ কবর দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের ধারণা, ওই দু’জনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এই ঘটনার প্রসঙ্গে এক গ্রামবাসী বলেন, গাড়িতে নিয়ে যাওয়া কয়েকটি শিশুর শরীরের নিচের অংশ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ছিল। একটি শিশুকে মুড়িয়ে বাঁশের ঝুড়িতে রাখা হয়েছিল। স্কুলের ভেতরে রীতিমতো রক্তের পুকুর তৈরি হয়েছিল। ফ্যান, দেওয়াল, ছাদ- সব জায়গায় মাংসের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। সবমিলিয়ে একটি নারকীয় পরিবেশ তৈরি হয় সেখানে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশ সামলানোর দায়িত্ব নিয়েছে মায়ানমান্রের সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই দফায় দফায় দেশজুড়ে চলছে অসন্তোষ। শুক্রবারও মর্মান্তিক ভাবে প্রাণ গেল বহু পড়ুয়ার।