তবে কি খোলা হতে পারে পুরীর (Puri) রত্নভাণ্ডারের দরজা? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ওড়িশা তথা দেশবাসীর মনে। ১৯৭৮ সালে শেষবারের মতো এই রত্নভাণ্ডারের সম্পদের হিসাব মেলানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, চলতি মাসের ২৭ তারিখ রত্নভাণ্ডার খোলা নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক (Meeting) ডাকা হয়েছে। আর ওই বৈঠকে সবুজ সংকেত (Green Signal) মিললে তা সরকারের অনুমতির জন্য পাঠানো হবে। তারপরই চূড়ান্ত হবে গোটা বিষয়টি।
শেষবার অর্থাৎ বছর চারেক আগে রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলার পরই হাইকোর্টের (Odisha High Court) নির্দেশ মেনে মন্দির সংস্কারের (Temple Construction) কিছু কাজকর্ম হয়। মূলত জগন্নাথ দেবের (Lord Jagannath) উদ্দেশে দান করা সোনা, দামি পাথর কিংবা বহুমূল্য কোনও বস্তু এই রত্নভাণ্ডারে জমা হয়। রত্নভাণ্ডারটির মোট সাতটি ঘর রয়েছে। এর আগে বিজেপির (BJP) তরফে জগ্ননাথ মন্দিরের এই রত্নভাণ্ডার খোলার দাবি জানানো হলেও তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে হাত ধুয়ে ওড়িশা সরকারের (Odisha Government) পিছনে পড়েছে গেরুয়া শিবির। ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে রত্নভাণ্ডারের সঞ্চিত ধনসম্পত্তির পরিমাণ জানতে তৎপর পদ্ম শিবির। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
জগ্ননাথ মন্দিরের বহুল চর্চিত রত্নভাণ্ডারে সোনা, দামি পাথর, অন্যান্য বহুমূল্য বস্তু জমা হত। রত্নভাণ্ডারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক সাংবাদিকদের জানান, মুখ্য প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর একটি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর সেই বৈঠকেই এই রত্নভাণ্ডার আদৌ খোলা হবে কী না সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে ওড়িশার বিজেপি নেতা বিজয় মহাপাত্র (Vijay Mahapatra) জানান, এই রত্নভাণ্ডার খোলা নিয়ে দীর্ঘদিনের টালবাহানা রয়েছে। ওড়িশা সরকার মনে করে ওরা রত্নভাণ্ডারের মালিক। তিনি খুব শীঘ্রই পুরীর মন্দিরে গিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে ওড়িশার বিজু জনতা দল (Biju Janata Dal) সাফ জানিয়েছে, এর পিছনে তাঁদের সরকারের কোনও যোগসাজশ নেই। বিজেপির কোনও কাজ নেই। ওরা ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব করে ওড়িশার সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে।