ছাত্রীদের গোপন ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবারও উত্তাপের আঁচ যথেষ্ট ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। এরইমাঝে আগামী ৬ দিনের জন্য সমস্তরকম পঠনপাঠন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের সুরক্ষার স্বার্থে হস্টেল (Hostel) নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হস্টেল ওয়ার্ডেনদের বদলি করা হচ্ছে, বদলে যাচ্ছে হস্টেলে ঢোকা-বেরনোর সময়ও।
নয়া সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর জানান, “যা ঘটেছে, তা নিয়ে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। কোনও ছাত্রী আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেনি। সব গুজব। আমি অভিভাবক ও পড়ুয়াদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, কোনও গুজবে কান দেবেন না। শান্ত থাকুন। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” পাঞ্জাবের ভগবন্ত মান সরকার এনিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী হরজ্যোৎ বেইনস পড়ুয়াদের শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর আশ্বাস, প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও (Viral Video) কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে। অন্তত ৬০ পড়ুয়ার স্নানের গোপন ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ উঠেছে তাঁদেরই এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে। তারপর সেই ভিডিও হিমাচল প্রদেশের শিমলার বাসিন্দা এক বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে এমএমএস বানিয়ে ওই ভিডিও নেটমাধ্যমে আপলোড করে দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। বিষয়টি নজরে আসার পর লজ্জায় এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। বিক্ষোভের জেরে নড়েচড়ে বসে পাঞ্জাব প্রশাসন উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে ওই ছাত্রী ও তার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, ৬০ জন নয়, অভিযুক্ত ছাত্রী নিজের গোপন ভিডিও প্রেমিককে পাঠান। সেখানে অন্য কোনও ছাত্রীর ভিডিও নেই।