সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল। বাঙালির কাছে ফুটবল যে শুধু একটা খেলা নয়, তার চেয়েও অনেক বেশিকিছু, সেটা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। নিছক একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট মুহূর্তে ভাঙিয়ে দিল সব অভিমান। ঠাণ্ডা লড়াই থেকে বন্ধ ছিল মুখ দেখাদদেখি। এক লহমায় দীর্ঘদিনের লড়াইকে শেষ করে সেই ফুটবল। গড়ে দিল আত্মিক সম্পর্ক। মিলিয়ে দিল দু’জনকে। একে অপরকে বুকে টেনে নিয়ে সম্প্রীতি, ঐক্যের বার্তা দিলেন দুই তৃণমূল নেতা।

এবার কসবার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খানের MLA কাপ টুর্নামেন্টের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বোরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ। আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর কসবার ৬টি ওয়ার্ডের ৬টি দলকে নিয়ে দুদিনব্যাপী গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে বসতে চলা কসবা MLA কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের কনভেনর সুশান্ত। আজ শনিবার একই রাজনৈতিক দলের “যুযুধান প্রতিপক্ষ” দুই শিবির এক ছাদেরতলায় টুর্নামেন্টের জার্সি, থিম সং ও ট্রফির উদ্বোধন করলেন। মূল অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সুশান্ত ঘোষ ও রেকর্ড মার্জিনে জেতা তৃণমূল কাউন্সিলর তথা জাভেদপুত্র ফৈয়াজ আহমেদ খান।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের দুই নেতা জাভেদ বনাম সুশান্ত-এর লড়াইয়ের কথা রাজ্য রাজনীতিতে কারও অজানা নয়। একই দলে থেকেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। যা সামাল দিতে শীর্ষ নেতৃত্বকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল একটা সময়। তবে সেই তিক্ততা এখন অতীত। কসবায় নতুন সকালের ডাক দিয়ে ফুটবল উৎসবকে সামনে রেখে সেই লড়াই যবনিকা হল। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ এর বক্তব্য, “এক সঙ্গে পথ চলতে হবে। আমরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার। কোথাও একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। সেটা মিটে গিয়েছে।” সুশান্তর পাশে বসে জাভেদ খান বলেন, “সুশান্ত আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী। সেই বাম আমল থেকে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। ও আমার নির্বাচনী এজেন্ট ছিল। ও ভোটের সময়ও আমি পাশে ছিলাম। তবে মাঝে একটু দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কেউ কেউ আমার আর সুশান্তর মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়েছিল। সেটা আমরা দুজনেই বুঝতে পেরেছি। এখন থেকে আমরা আবার হাতে হাত মিলিয়ে কসবার মানুষের উন্নয়নে কাজ করবো।”
আরও পড়ুন- রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে বাইডেন, ট্রাসরা: আর কে কে তালিকায়
এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে সায়েন্স সিটি সংনগ্ন বোর্টিং ক্লাবে বসেছিল চাঁদের হাট। সেখানে জাভেদ-সুশান্ত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কসবা ফুটবল উৎসবের ঢাকে কাটি দিলেন। প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন আলভিটো ডি’কুনহা, দীপঙ্কর রায়, রহিম নবি, সুব্রত পাল।






































































































































