বাগুইআটিতে (Baguiati) জোড়া খু*ন কাণ্ডের মাস্টার-মাইন্ড সত্যেন্দ্র চৌধুরিকে ইতিমধ্যেই হাওড়া স্টেশন (Howrah Station) চত্বর থেকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ ও সিআইডি( CID)। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের CID হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সত্যেন্দ্রকে (Satyendra Chaudhary)জেরা করে দশম শ্রেণির পড়ুয়া দুই কিশোরকে হত্যার মোটিভ জানতে চান গোয়েন্দারা।
তারই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে হাওড়া স্টেশনের একটি CCTV ফুটেজ। সেখানে সত্যেন্দ্র চৌধুরির গতিবিধি স্পষ্ট। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কাঁধে ব্যাগ, হাফপ্যান্ট পরে করিডোর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছে বাগুইআটি জোড়া খু*নে মূল অভিযুক্ত। মুখ মাস্কে ঢাকা। তবে সে যে খুব চিন্তিত, অন্তত CCTV ফুটেজ দেখে তা কেউ অনুমান করতে পারবে না।
সূত্রের খবর, সত্যেন্দ্রর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। প্রতিনিয়ত তার ফোনের টাওয়ার লোকেশন “ট্র্যাক” করছিলেন গোয়েন্দারা। পুলিশ কার্যত নিশ্চিত ছিল, সত্যেন্দ্র বেশিদিন পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। পকেটে টান পড়লে সে নতুন সিম ফোনে লাগিয়ে পরিচিত কারও কাছে টাকা চাইবেই। এবং সেটাই ঘটছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, খুন করার পর থেকে দিনের বেলায় বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়ালেও রাতটা সে শুতে আসতো হাওড়া স্টেশনেই। ঘণ্টায় ১০ টাকা খরচ করে স্টেশনের বাতানুকূল যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে সতেন্দ্র নিশিযাপন করেতো। এক আত্মীয়ের থেকে কিছু মোটা টাকা পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই মুম্বই পালানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করে সে। স্টেশনের CCTV ফুটেজে সেই ছবি ধরা পড়েছে।
শুক্রবার,একটি বেসরকারি টিকিট বুকিং কাউন্টারে গিয়ে এক কর্মী কাছে মুম্বই যাওয়ার কী ট্রেনগুলি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়। তখনই টিকিট কাউন্টারে দাঁড়িয়েই নিজের ফোনে ফোন চালু করে এক পরিচিতের কাছে ফোন করে টাকা চায়। সত্যেন্দ্র ফোন অন করতেই লোকেশনের ট্রাক করে ফেলেন ফাঁদ পেতে বসে থাকা গোয়েন্দারা। নিমেষে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সত্যেন্দ্রকে।