কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে(Amit Shah) ‘সবচেয়ে বড় পাপ্পু’ বলে সম্প্রতি কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সাংগঠনিক অধিবেশন থেকে শাহকে ফের ‘পাপ্পু'(Pappu) কটাক্ষ করে ৪ কারণ সহ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ব্যাখ্যা দিলেন, কেন তিনি শাহকে ‘সবচেয়ে বড় পাপ্পু’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
এদিনের অধিবেশন থেকে অভিষেক বলেন, “অমিত শাহকে সবথেকে বড় পাপ্পু বলেছি। কেন বলেছি, তার চারটে কারণ রয়েছে। কারণগুলো আপনাদের জানতে হবে। অঞ্চলে অঞ্চলে গিয়ে বলতে হবে। বুথে বুথে কর্মিসভা করে জানাতে হবে।” এরপর নম্বর ধরে ধরে অভিষেক বলেন, “ওনাকে পাপ্পু বলার প্রথম কারণ, রাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে রয়েছে দিল্লি পুলিশ। অথচ দিল্লির ক্রাইম রিপোর্ট দেখুন। কলকাতার ক্রাইম রিপোর্ট দেখুন। কলকাতা দেশের সবথেকে নিরাপদ শহর। আমার বলছি না, কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে। সেই জন্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনি সবথেকে বড় পাপ্পু।”
এরপর দ্বিতীয় কারণ অভিষেক অমিত শাহের পুত্র জয় শাহের জাতীয় পতাকা বিতর্ক তুলে ধরে বলেন, “আপনি সবাইকে দেশ প্রেম শেখাতে চান, জাতীয় পতাকা নিতে বলেন। অথচ আপনার পুত্র জাতীয় পতাকা হাতে নিতে লজ্জা পায়। এই ছেলেকে আপনার ত্যাজ্যপুত্র করা উচিত। ওই কারণেই আপনি ভারতের সবথেকে বড় পাপ্পু।” তৃতীয় কারণে অমিত শাহের মন্ত্রকের অধীন ইডি-সিবিআইয়ের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কথা তুলে ধরে অভিষেক জানান, “আপনার অধীনে থাকা ইডি-সিবিআই চোরেদের আশ্রয় দিচ্ছে। ক্যামেরার সামনে যাকে টাকা নিতে দেখা গেল, যার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করে চিঠি দিয়েছেন সুদীপ্ত সেন, তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এই কারণেই আপনি বড় পাপ্পু।”
এরপর চতুর্থ তথা শেষ কারণে অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ শানানোর সিপিএম ও কংগ্রেসকেও একহাত নেন অভিষেক। তিনি বলেন, “অমিত শাহ সিবিআই, ইডিকে কাজে লাগিয়ে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাইছেন। বাংলায় কংগ্রেস-সিপিএম বলে কোনও বস্তু নেই। যে ভাবেই হোক তৃণমূলকে ধমকে চমকে থামাতে চাইছে।” পাশাপাশি তিনি আরও যোগ করে বলেন, “তৃণমূল ইডি-সিবিআইকে তোয়াক্কা করে না। তৃণমূল মেরুদণ্ড বিক্রি করে না। রাজনৈতিক ভাবে লড়তে না পেরে বাংলার মানুষকে অপমান করছে বিজেপি। যতদিন মমতা আছে দিল্লির কাছে হাত পাততে হবে না।” এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির উদাহরণ টেনে অভিষেক বলেন, “উত্তর প্রদেশ-দিল্লি কোনও কাজের কাজ করে না, শুধু রাস্তার নাম স্টেশনের নাম পাল্টাচ্ছে, এরা ক্ষমতায় এলে মেদিনীপুর মোদিনিপুর হয়ে যেত, দার্জিলিং মোদিলিং হয়ে যেত। গণতান্ত্রিকভাবে মানুষের ভালবাসায় যোগ্য জবাব দিতে হবে এই বিজেপিকে।”