স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সড় গাফিলতি,মুম্বই পুলিশের বেষ্টনী ভেঙে ঢুকল সন্দেহভাজন ব্যক্তি

0
2

প্রধানমন্ত্রীর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সড় গলদ পুলিশের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুম্বই সফরের সময় তাঁর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ঢুকল সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি। নিজেকে নিরাপত্তারক্ষীর পরিচয় দিয়ে অমিত শাহের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল ওই ব্যক্তি। তাঁর গলায় নিরাপত্তা অফিসারের পরিচয়পত্র ছিল। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তারা ওই ব্যক্তির উপর নজরদারি চালায়। শেষমেশ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের এক সাংসদের ব্যক্তিগত সচিব বলে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে। ধৃত ব্যক্তি হেমন্ত পাওয়ার নিজের কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিরাপত্তা অফিসার বলে নিজেকে পরিচয় দেন।

আরও পড়ুন:অমিত শাহ সবচেয়ে বড় পাপ্পু: অভিষেকের মন্তব্যের টি-শার্ট আনছে তৃণমূল

তবে পুলিশের বেষ্টনী ভেঙে কিভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পৌঁছলেন ঐ ব্যক্তি? এই ঘটনায় মুম্বই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরও মনে করছে ওই ব্যক্তি কোনও ক্ষতি করতে না পারলেও তিনি অমিত শাহের এতটাই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন, যে কোনও অঘটন ঘটে যাওয়া অসম্ভব ছিল না। ধৃতের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেসময় ছিলেন মুম্বইয়ে। উদ্ধব ঠাকরের সরকারকে গদিচ্যুত করতে মহারাষ্ট্র বিজেপির অপারেশন লোটাসের কোচ ছিলেন অমিত শাহই।একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের পর এই প্রথম বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের কেউ মুম্বই গিয়েছিলেন।তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘিরে বিজেপি সরকারের শরিক হওয়ায় দলীয় কর্মীদের মধ্যে উন্মাদনা চরমে ছিল। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের বাড়িতেই অমিত শাহ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। তখনই সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে শাহর আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তিনি নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতরেই ঘোরাফেরা করছিলেন। ওই ব্যক্তির গতিবিধি নজরে আসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ কমিশনার নীলকান্ত পাতিলের। তাঁরা মুম্বই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আধিকারিকরা এসে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। স্থানীয় এক আদালতে তোলা হলে তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আপাতত ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম হেমন্ত পাওয়ার। বাড়ি মহারাষ্ট্রের ধুলেতে। তিনি দাবি করেছেন, বৈধ উপায়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে ঢুকেছিলেন তিনি। পুলিশ তাঁর দাবি খতিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য, এ বছরের গোড়ার দিকে পাঞ্জাবে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তায় গলদের অভিযোগ উঠেছিল। সে নিয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে বিস্তর বাক-বিতণ্ডা চলেছে। এবার বিজেপি শাসিত রাজ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।