বাগুইআটিতে অপহরণের ১৫দিন পরে অপহৃত ২ কিশোরের দেহ উদ্ধার বসিরহাটের (Basirhat) মর্গে। এই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী (Styendra Chodhury) বেপাত্তা। এই ঘটনায় ৪জনকে ধরতে পারলেও, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। তাকে এখন হন্যে হয়ে খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
কোথায় যেতে পারে সত্যেন্দ্র?
বিহারের বাসিন্দা সত্যেন্দ্র চৌধুরী। সূত্রের খবর, তাকে খুঁজতে এখন ভিনরাজ্যে নজর রাখছে সিআইডি। কারণ, ঘটনার পরে তিনি নিজেই জানান, অতনুকে তিনি অপহরণ করেননি। তখনই তার উপর সন্দেহ বাড়ে। তাছাড়া, দুই কিশোর খুনের পরেও তার মোবাইল থেকেই মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। তদন্তকারীদের অনুমান, অনেক আগে থেকেই খুনের পরিকল্পনা করেছিল। স্ত্রী পূজাকে আগেই বাগুইআটির বাড়ি থেকে সরিয়ে দিয়েছিল সত্যেন্দ্র। ঘটনার পর থেকে আর এলাকায় ফেরেনি।
কিন্তু অপহরণের পর থেকে কেটে গিয়েছে ১৫দিন। এর মধ্যে সে রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এই বিষয়টি ভাবচ্ছে তদন্তকারীদেরও। সেই কারণেই বিহার-সহ আশপাশের রাজ্যে খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
বাগুইহাটি জোড়া খুন কাণ্ডে জট ছাড়াতে সত্যেন্দর গ্রেফতারি আশু প্রয়োজন। তবে এখনও পর্যন্ত তার মোবাইল ফোনটি ট্রেস করা যায়নি। সেটি নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে রয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। অনুমান অন্য কোনও মোবাইল থেকে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সত্যেন্দ্র। তাই তাঁদের গতিবিধির ওপরেও কড়া নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। অনেকের ধারণা চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশেও আশ্রয় নিতে পারে অভিযুক্ত।
একটি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ও ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব পেয়েছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন ইঙ্গিত খুব হালকা। নিহত অতনুর সঙ্গে জোড়া হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর স্ত্রী পূজার মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলেই মনে করছে অনেকে। এমনকী, এই ঘটনার বিষয়টি জানতো সত্যেন্দ্র নিজেও। সেই আক্রোশ থেকে খুন কি?
বাগুইআটিতেই অতনুদের পাড়াতে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর শ্বশুরবাড়ি। প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে সত্যেন্দ্রর স্ত্রীর সঙ্গে অতনুর অনেকদিনের পরিচয়। সত্যেন্দ্রর স্ত্রী পূজাকে দিদি বলে ডাকত অতনু। পূজার বাপের বাড়িতেও নিয়মিত যাতায়াত ছিল অতনুর। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক হলেও এই দুজনের ঘনিষ্ঠ মেলামেশা ভালোভাবে নিতো না সত্যেন্দ্র। ক্রমশ অভিযুক্তের চোখে ঘৃণার পাত্র হয়ে ওঠে অতনু। বাড়তে থাকে ক্ষোভ। তারই প্রতিহিংসার জন্য এই খুন কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অতনু ও পূজার বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর কড়া পদক্ষেপের পরই বাগুইআটির নিহত কিশোরের বাড়িতে CID-বিধাননগরের CP