এবার উত্তর কলকাতায় “ইন্ডিয়া বিগেস্ট পাপ্পু অমিত শাহ” পোস্টার নিয়ে ধিক্কার মিছিল করল তৃণমূল। তৃণমূল যুবনেতা শক্তিপ্রতাপ সিংয়ের নেতৃত্বে মহাজাতি সদন থেকে সেন্ট্রাল এভিনিউতে বিজেপি রাজ্য সদর দফতর পর্যন্ত এই মিছিল হয়। যুব তৃণমূল সমর্থকদের গায়ে “পাপ্পু” স্টিকার ও গলায় ”পাপ্পু”পোস্টার নিয়ে এই মিছিল হয়। মিছিল শেষে অমিত শাহের কুশপুতুল পোড়ান তৃণমূল সমর্থকরা। তবে এদিনের অভিনব মিছিলের আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন প্রতীকী শুভেন্দু অধিকারী।
হুবহু শুভেন্দুর মতো শারীরিক গঠনের এক যুবককে শুভেন্দুর মুখোশ পড়িয়ে কোমরে দড়ি বেঁধে বুকে চোর পোস্টার লাগিয়ে ঘোরানো হয়। যেখানে প্রতীকী শুভেন্দু নিজেই বলছে, “আমি কোটি কোটি টাকা চুরি করেছি। বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গদ্দারি করেছি। আমি আমার বস অমিত শাহের কথায় টাকা চুরি করেছি। সেই টাকায় অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি সরকার ভাঙা গড়ার খেলায় মেতেছে। ঘোড়া কেনাবেচা করছে।”
মিছিলের ইস্যু নিয়ে যুবনেতা শক্তিপ্রতাপ বলেন, “যেভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ইডি-সিবিআই দিয়ে তৃণমূল-সহ বিরোধীদের হেনস্থা করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ। এই রাজ্যের সবচেয়ে বড় চোর শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ইডি-সিবিআই তাকে ছুঁয়েও দেখছে না। আর দেশের সবচেয়ে বড় পাপ্পু দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।”
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২ তারিখ, সিজিও কমপ্লেক্স থেকে টানা সাড়ে ৬ ঘন্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর বাইরে আসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বেরিয়েই বিজেপির ও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ”দেশের সবচেয়ে বড় পাপ্পু অমিত শাহ।” একইভাবে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিনয় মিশ্রের ফোনে কথোপকথন নিয়ম বিস্ফোরক অভিযোগ করেন অভিষেক।
এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অমিত শাহকে ”পাপ্পু” বলে উল্লেখ করে প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। শুধু লেখালেখি নয়, শাহের ছবি বসিয়ে তার পাশে ”দেশের সবচেয়ে বড় পাপ্পু” লিখে বিলি হচ্ছে। সেটা পরে ফেসবুকে ছবিও তুলছেন সকলে। শুধু সাধারণ কর্মী-সমর্থকরাই নন,তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের মধ্যেও অনেককে “পাপ্পু” টি-শার্ট পড়তে দেখা গিয়েছে।