খায়রুল আলম, ঢাকা
ফের অশান্ত হয়ে ওঠেছে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্ত। ফের গোলাগুলি শুরু হয়েছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায়। ছোঁড়া হচ্ছে মর্টারশেল। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সীমান্তের নিকটবর্তী বাংলাদেশি বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. মহিবুল্লাহ বলেন, প্রায় এক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির তুমব্রু সীমান্ত এলাকার অপরদিক মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তুমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এর মধ্যে গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিক্ষিপ্ত দুটি মর্টারশেল ঘুমধুম ইউপির তুমব্রু উত্তরপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় পড়ে। সেগুলো বিস্ফোরিত না হওয়ায় কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এরপর আবার ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় পতিত হয়।
এর মধ্যে গত দুদিন গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও মঙ্গলবার থেকে ফের ওই এলাকায় মর্টারশেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ঘুমধুম ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আনোয়ার বলেন, যে এলাকায় গোলাগুলি হচ্ছে সেটা আমাদের এলাকা থেকে প্রায় ৫-৭ কিমি দূরে। তবে দুইদিন গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও মঙ্গলবার থেকে সীমান্তের ওপার থেকে খুবই গোলাগুলির শব্দ আসছে। এতে স্থানীয়রা নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারতে বাইরে যেতেও দ্বিধা বোধ করছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘সীমান্তে দুই দিন গোলাগুলি বন্ধ থাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও গোলাগুলি শুরু হওয়ায় ভয়ে আছে সীমান্তের লোকজন। আজও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আজকে মনে হচ্ছে মর্টার শেল ছোড়া হচ্ছে। শব্দগুলো বিকট। দিন দিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এতে লোকজনের মাঝেও ভয়ভীতি বাড়ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা (আইসি) সোহাগ বলেন, সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে বিজিবি। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার এখতিয়ারও আমাদের নেই। তবে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এলাকা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- সত্যেন্দ্র কোথায়? বাগুইআটি জোড়া অপহরণ-খু*নে ভিনরাজ্যে নজর তদন্তকারীদের!