বাগুইআটি জোড়া খু*ন কাণ্ডে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত অতনু দে’র এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী দাবি করেছে, মুক্তিপণ চেয়ে তার কাছেও হোয়াটসআপে মেসেজ এসেছিল। প্রায় ১কোটি টাকা মুক্তি দাবি করা হয় সেখানে। এবং বলা হয় টাকা দিতে না পারলে খতম করে দেওয়া হবে অতনুকে।
কিন্তু মুক্তিপণ চেয়ে হঠাৎ কেন বান্ধবীর মোবাইলে মেসেজ? অতনুর বান্ধবীর দাবি, “প্রথমে সম্ভবত ওরা অতনুর বাবার কাছে মেসেজ করেছিল। কিন্তু অতনুর বাবা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তাই কোনও উত্তরও দেননি। তারপর আমাকে ওরা মেসেজ করে বলে, অতনুর বাবা কি অশিক্ষিত?মেসেজের উত্তর দিচ্ছে না কেন? মনে হয় সেই কারণেই ওরা আমাকে হুমকি মেসেজ করতে শুরু করে। মেসেজে বলে, এক কোটি টাকা দিতে হবে। না দিলে অতনুকে আর ফিরে পাবি না। আমরা জানি যে, তুই অতনুর বান্ধবী। আমাদের মেসেজের অপেক্ষায় থাকিস। দরকার হলে আমরা তোকে কল করে নেব। কিন্তু তুই আর কী করবি? ওটা ওর মা-বাবার ব্যাপার। ওর বাবা এত অশিক্ষিত কেন, যে মেসেজের উত্তর দিচ্ছে না। কালকের মধ্যে যদি টাকার জোগাড় না করতে পারিস, তবে ভুলে যা অতনুকে।”
তবে অতনুর বান্ধবীর কাছে পরপর মেসেজ এলেও একবারের জন্যও কোনও নম্বর থেকে ফোন করেনি আততায়ীরা। অতনু বান্ধবীর কথায়, “২২ আগস্ট থেকে অতনুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কিছুদিন পর আমার কাছে আচমকা একটা মেসেজ আসে। এরপর আরও মেসেজ করতে থাকে সে। ২৫ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত আমার কাছে মেসেজগুলো আসে। আমি বুঝতে পারছিলাম না যে, কে মেসেজগুলো পাঠাচ্ছে। অপহরণকারীরা নিজেদের নাম বলেনি। আবার অদ্ভুতভাবে কিছুক্ষণ পরপর মেসেজগুলি ডিলিট হয়ে যাচ্ছিল।”
আরও পড়ুন- মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সেনা জওয়ানদের উত্তরসূরিদের ছাত্রবৃত্তি ঘোষণা হাসিনার
যদিও বুদ্ধি করে অতনুর বান্ধবী আততায়ীদের মেসেজগুলোর স্ক্রিনশট নিয়ে রাখে। মেসেজের গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে অতনুর বান্ধবী। স্ক্রিনশটগুলিও পুলিশকে দিয়েছে সে। এই তদন্তে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।