চলতি মাসের ১৭ সেপ্টেম্বর সারা বাংলা জুড়ে পূজিত হবেন কারিগরি দেবতা বিশ্বকর্মা । মহালয়ার পূণ্য তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে মাতৃপক্ষের সূচনা হবে । সপ্তাহের অন্ত থেকেই মাতৃপক্ষের সূচনার সাথে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গোৎসবের দামামা বেজে উঠবে।
আরও পড়ুনঃ ‘আশা করি আলোচনা ফলপ্রসূ হবে’ মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, গত দু’বছর করোনার আবহে লকডাউনের জেরে বিশ্বকর্মা প্রতিমার বায়না তেমন না পাওয়ায় মাথায় হাত পড়ে ছিল কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের। তবে লকডাউন শিথিল হতেই মুখে হাসি ফুটেছে মৃৎশিল্পীদের। বাঙালির আবেগের ওপর অন্য কিছু হয় না কারণ, বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আগমনীর বার্তা। খুশির জোয়ারে ভাসতেই বিশ্বকর্মা পুজোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপুজোর আবেগে ভাসবেন সকলে।
কলকাতার কুমোরটুলির পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির কুমোরপাড়াতেও মৃৎশিল্পীদের বিশ্বকর্মা প্রতিমার শেষ তুলির টান দিতে দেখা গেল। বলা যেতে পারে, প্রস্তুতি তুঙ্গে।
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মৃৎশিল্পী বাদল তপাদার জানান, লকডাউনের জেরে প্রতিমা বিক্রি ও বায়না না পেয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হতেই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এগিয়ে আসায় বিভিন্ন ক্লাব, অন্যান্য কারখানা ,দোকান বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছোট-বড় নানান ধরণের বিশ্বকর্মা প্রতিমা বায়না করে গিয়েছেন।
ডেলিভারি দেওয়ার আগে শেষ প্রস্তুতি চলছে। তবে বাদ সেধেছে আবহাওয়া। দফায় দফায় বৃষ্টিতে প্রতি পদে বাধা পাচ্ছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। বৃষ্টির জন্য রং শুকাতে অনেক সময় লাগছে। তবু তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন যন্ত্রের সাহায্যে প্রতিমার রঙ শুকিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করতে। আনন্দের জোয়ারে গা ভাসাতে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা আপামর বাঙালির।














































































































































