সাম্মার্গ চিটফান্ড (Sunmarg Chitfund) কেলেঙ্কারিতে হালিশহর পুরসভার (Halisahar Municipality) চেয়ারম্যান রাজু সাহানি (Raju Sahani) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে হালিশহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে CBI. বীজপুরের (Bijpur) বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং কাঁচড়াপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর বিরুদ্ধেও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে তলব করল CBI. তবে ঠিক কবে CBI তাঁকে তলব করেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে,সান্মার্গ চিটফান্ড কর্তার সঙ্গে সিপিএমের দাপুটে নেতাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যে ছিল সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই ভুঁইফোড় সংস্থার কর্মীরা। সিপিএমের আমলেই চিটফান্ড সংস্থা শুরু করার চার বছরের মধ্যেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠে বর্ধমান সান্মার্গ – এর কর্তা। বাম আমলে অনেক নেতার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে চিটফান্ড চালাতে তার অসুবিধা হয়নি। ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে সে ১০০টির বেশি সম্পত্তি কিনেছিল।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে সাম্মার্গ কর্তা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে ফ্ল্যাট কিনেছিল। তার পাশাপাশি গুসকরায় ২০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮১৩ টাকা দিয়ে তিন একর ৩৭ ডেসিমেল জায়গা কেনে। কাঁকসার মলানদিঘি এলাকায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ৪২ ডেসিমেল জায়গা কিনেছে। কুলডিহার একটি প্লটে ৪৪.৪০ ডেসিমেল, অন্য একটি মৌজায় ২৯.৪ ডেসিমেল জায়গা রয়েছে। ওই এলাকাতেই একটি মৌজায় ৪.৮, ১০.২ ও ৮৭ ডেসিমেল জায়গা রয়েছে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মলানদিঘির বিভিন্ন এলাকায় সান্মার্গ কর্তার ২০০ ডেসিমেল জায়গা কেনা রয়েছে। বেশি জমি আছে মলানদিঘি পঞ্চায়েত এলাকায়। এছাড়াও ফরিদপুর ব্লকের একটি মৌজায় ৪২ শতক ও অন্য একটি মৌজায় ৮ ডেসিমল জায়গা রয়েছে। ওই চিটফান্ড কর্তার দুর্গাপুর শহরেও সম্পত্তি রয়েছে। সমস্ত সম্পত্তির হিসেব তদন্তকারী সংস্থার কাছে রয়েছে। ওই চিটফান্ড কর্তা ২০১২ সাল থেকে ফেরার রয়েছে। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলানো হয়েছে।