ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী থাকল চিনের দক্ষিণ-পশ্চিম অবস্থিত সিচুয়ান প্রদেশ। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৫ নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিচুয়ান প্রদেশ। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ভূমিকম্পের কারণে কমপক্ষে ৪৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৫০ এর গণ্ডি পার করেছে।শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।
আরও পড়ুন:Earthquake: আফগানিস্তানের ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল পড়শি পাকিস্তানও
মার্কিন ভূতত্ত্ববিদের সমীক্ষা অনুযায়ী, সোমবার ভয়ংকর ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিচুয়ান প্রদেশের কাংডিংয়ে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৬। এর জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দীর্ঘ ৪৩ কিমি এলাকা। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
চেংডুতে এমনিতেই জারি কড়া কোভিডবিধি। লকডাউনের জেরে ঘরবন্দী মানুষ। তারই মধ্যে তীব্র কম্পনে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। কেঁপে ওঠে বহুতল বিল্ডিংগুলিও। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে কম্পনের জেরে একাধিক এলাকায় ধস নামার ফুটেজও। বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচলের রাস্তা। কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ অন্তত ১০ হাজার মানুষ। ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন অর্থাৎ আফ্টারশকেও বেড়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। জানা গিয়েছে, মূল ভূমিকম্পের ঘণ্টাখানেক পরই তিব্বতে কম্পন অনুভূত হয়। যার মাত্রা ছিল ৪.৩।
ভূমিকম্পের কারণে জল, বিদ্যুৎ, পরিবহণ ও টেলি যোগাযোগ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। চিনের এই ভূমিকম্পের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছে ভারত। চিনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, “৫ সেপ্টেম্বর সিচুয়ান প্রদেশে হওয়া ভূমিকম্পে মৃতদের শ্রদ্ধা জানাই এবং যাঁরা ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”
উদ্ধারকাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে যথাযথভাবে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। জনগণের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রেসিডেন্ট জিংপিং জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রক এবং অন্যান্য বিভাগকে ত্রাণ কার্য পরিচালনার জন্য সিচুয়ানে দল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের তরফে পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং পিপলস আর্মড পুলিশ ফোর্সকে সক্রিয়ভাবে উদ্ধারকাজে সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।