সোমবারই চার দিনের ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) শেখ হাসিনা (Seikh Hasina)। আর সফরের ২৪ ঘণ্টা আগেই একাধিক বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে একদিকে যেমন উঠে এল গরু পাচার (Cattle Smuggling) প্রসঙ্গ, ঠিক তেমনই জায়গা পেল তিস্তা (Teesta Water distribution), সংখ্যালঘু (Minority Problems) সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। শনিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু চোরাচালানের সমস্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে দাবি করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এরপরই গরু চোরাচালানের বিষয়ে ভারতের একটু ধৈর্য্য দেখানো উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি হাসিনার বক্তব্য, গরু পাচারের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। আমি নিশ্চিত করে বলছি, পাচার বন্ধ হবেই।
এছাড়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Minority Community) উপর হামলার ইস্যুতেও সরব হন হাসিনা। তিনি বলেন, আমি মনে করি এই বিষয়ে দুই দেশেরই উদারতা দেখানো উচিত। বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ (Secular Country)। আমাদের এখানে অনেক ধর্মের মানুষ আছেন এবং এখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি বেশি। সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার বিষয়ে আমার দল, দলের লোকজন এবং আমার সরকার খুবই সচেতন। আমরা অবিলম্বে ব্যবস্থা নিই।
এছাড়া হাসিনার বক্তব্যে এদিন উঠে আসে ভারত-বাংলাদেশ জলবন্টন প্রসঙ্গও। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবন্টন ইস্যুতে আমরা ভারতের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। তাই এবিষয়ে ভারতের আরও উদারতা দেখানো উচিত। এতে উভয় দেশই লাভবান হবে। হাসিনার অভিযোগ, তিস্তার জলবন্টন সমস্যার কারণে অনেক সময় আমাদের দেশের জনগণ অনেক কষ্ট ভোগ করে। আমি মনে করি বিষয়টির দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী, এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা।
আরও পড়ুন- ৫৪ বছর বয়সেই শেষ হল রতন টাটার ‘মানসপুত্র’ সাইরাসের পথ চলা