ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাতে চাই না: ভারত সফরের আগে বার্তা হাসিনার

0
1

সোমবার ভারত সফরে (India Tour) আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (Bangladesh Prime Minister) শেখ হাসিনা (Seikh Hasina)। আর সেই সফরের আগে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা ভারতকে বাংলাদেশের ‘টেস্টেড ফ্রেন্ড’ (Tested Friend) বলে আখ্যা দিয়েছেন। হাসিনা জানান, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তাঁর এই সফরে দুদেশের মধ্যে বেশকিছু দিপাক্ষিক বিষয় (Bilateral Meeting) নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ভারত-চিন সম্পর্ক প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন, “আমাদের বিদেশনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট- সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারোর সঙ্গেই বিদ্বেষ নয়। যদি কোনও সমস্যা হয়, তবে তা চিন ও ভারতের মধ্যে। আমি তার মাঝখানে নাক গলাতে চাই না। আমি নিজের দেশের উন্নয়নই চাই।”

শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উদ্যোগের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine War) বাংলাদেশের বেশকিছু পড়ুয়া পূর্ব ইউরোপে আটকে ছিলেন, কিন্তু নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। একইসঙ্গে ‘ভ্যাকসিন ফ্রেন্ডশিপ কর্মসূচির’ (vaccine Friendship) আওতায় প্রতিবেশী দেশগুলিকে কোভিড-১৯ টিকা (Covid 19 Vaccine) দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত মোদি সরকার নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

এদিন শেখ হাসিনা ভারত ও চিনের বর্তমান সম্পর্ক (Indo China Relation) নিয়েও মুখ খোলেন। তিনি দু’দেশের কাছে লড়াই না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত ও চিনের মধ্যে লড়াই করা উচিত নয়। তবে এদিন প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলির সমাধান সম্ভব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমাদের মধ্যে খুব ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তবে আমার মনে হয়, যদি প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সমস্যা হয়, তবে তা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করে নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে হাসিনার বক্তব্য, “আমাদের বিদেশনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট- সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারোর সঙ্গেই বিদ্বেষ নয়। যদি কোনও সমস্যা হয়, তবে তা চিন ও ভারতের মধ্যে। আমি তার মাঝখানে নাক গলাতে চাই না। আমি নিজের দেশের উন্নয়নই চাই।”

আবেগপ্রবণ হয়ে হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জার্মানিতে পরমাণু বিজ্ঞানী স্বামীর সঙ্গে থাকতে তিনি বাংলাদেশ ছাড়েন। ওইদিন হাসিনা ও তাঁর বোনকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তবে তিনি বুঝতেই পারেননি সেটিই ছিল বাবা মায়ের সঙ্গে তাঁর শেষ সাক্ষাৎ।