মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলে গিয়েছিলেন মোদি! এমন কোনও তথ্য নেই, জানালো PMO

0
1

গত বছর বাংলাদেশের(Bangladesh) মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) দাবি ছিল মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ‘সত্যাগ্রহ’ করে জেল খেটেছিলেন তিনি। মোদির মুখে এমন কথা শুনে অবাক হয়েছিল দেশবাসী। এরপরই শুরু হয় তথ্য অনুসন্ধান। সেই অনুসন্ধানের ফলাফলে মুখ পুড়ল মোদির। খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতর(PMO) জানিয়ে দিল, নরেন্দ্র মোদি গ্রেফতার বা জেলবন্দি হয়েছিলেন এমন কোনও তথ্য তাঁদের কাছে নেই। এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক মহলে প্রধানমন্ত্রী তথা দেশের সম্মান ক্ষুণ্ণ হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

বাংলাদেশে মোদির সেই দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তথ্যের অধিকার আইনে বেশ কয়েকটি প্রশ্নর উত্তর জানতে জয়েশ গুরনানি নামে এক ব্যক্তি। গুরনানি পাঁচটি বিষয়ে তথ্য চেয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের করা এফআইআর, গ্রেফতার কী অভিযোগে, গ্রেফতারের মেমো বা প্রাসঙ্গিক নথি, জেল থেকে তাঁর মুক্তির নথি এবং যেখানে তাঁকে রাখা হয়েছিল, সেই জেলের নাম। তবে সরাসরি জবাব এড়িয়ে পিএমও জানিয়েছে, “রেকর্ডে পাওয়া তথ্যগুলি হাইপারলিংক ‘পিএম’স স্পিচেস-এর অধীনে পিএমও-র ওয়েবসাইটে পাওয়া যেতে পারে।” তারা আরও জানায়, ২০১৪-য় দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তারা প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করে। জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে গুরনানি মুখ্য তথ্য কমিশনার ওয়াই কে সিনহার কাছে আবেদন করেন। ২০২২-এর ১৮ আগস্ট শুনানি করেও লাভ হয়নি।

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিব বর্ষ), ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরের উদযাপন উপলক্ষ্যে গত বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমার বয়স তখন ২০-২২ হবে। আমি ও আমার বহু সহকর্মী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সত্যাগ্রহে শামিল হয়েছিলাম। সে জন্য আমায় জেলে যেতে হয়েছিল।” যদিও মোদির সেই দাবির কোনও বাস্তব ভিত্তি না থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি ঘিরে প্রশ্ন ওঠায় অস্বস্তিতে নয়াদিল্লি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর কথায় বিড়ম্বনা বেড়েছে ঢাকারও।