পুজোর (Durga Puja)আগেই রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর আসার কথা ছিল আগেই। এবার পাওয়া গেল সম্ভাব্য তারিখ। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া (Mahalaya),পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা। তার আগেই কলকাতার (Kolkata) টালা ব্রিজ (Tala Bridge) ধরে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার রাস্তা খুলে যাচ্ছে শহরবাসীর জন্য। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মহালয়ার আগেই টালা ব্রিজের (Tala Bridge) উদ্বোধন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরের লাইফলাইন টালা সেতু খোলা নিয়ে উদগ্রীব শহরবাসী।
কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা টালা ব্রিজ। কিন্তু সেই সেতু বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই ঘোষণা করেছিলেন, মহালয়ার আগেই টালা ব্রিজ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আসার পরই রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় (Pulak Roy)গত ১৬ অগাস্ট জরুরি বৈঠকে টালা ব্রিজের উদ্বোধনের নিয়ে দফতরের লোকেদের সঙ্গে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে পুরনো টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। তখন থেকেই কাশীপুর, বাগবাজার হয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করছে উত্তর শহরতলির যানবাহন। ফলে ট্রাফিকের সমস্যা লেগেই আছে। মনে করা হচ্ছে টালা ব্রিজ চালু হয়ে গেলে মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। আর এমনিতেই UNESCO এর সম্মান পাওয়ার পর এবারের পুজো নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে কলকাতায়। সেক্ষেত্রে টালা ব্রিজের উদ্বোধন হয়ে গেলে পুজোর ভিড় সামলাতে পুলিশেরও সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, নতুন করে টালা ব্রিজ নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। এবারে সেতুর দৈর্ঘ্য ৭৫০ মিটার। আগে টালা ব্রিজের ভারবহন ক্ষমতা ছিল ১৫০ টন, এখন সেটা বেড়ে হচ্ছে ৩৫০ টন। পূর্তমন্ত্রী জানান, আগে ৪ লেন ছিল, এখন ৬ লেন হয়েছে টালা সেতু। সেতুর মাঝ দিয়ে পথচারীরা রাস্তা পার হতে পারবেন না। এবং নতুন সেতুতে আরও দ্রুত গতিতে যান চলাচল করতে পারবে, ফলে সময়ের সাশ্রয় হবে অনেকটাই।