মধ্যপ্রদেশে হাসপাতালে চিকিৎসকের দেখা নেই, মায়ের কোলেই বেঘোরে প্রাণ গেল ৫ বছরের শিশুর

0
1

দেশের উন্নয়নে মোদি-শাহ-নাড্ডা একাধিকবার বলেছেন যে ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারই পারে পরিস্থিতির বদল আনতে।কিন্তু বাস্তব চিত্র অন্য কথা বলছে। ডাবল ইঞ্জিন চালিত মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য বিভাগের বেহাল দশায় জেরবার সাধারণ মানুষ। গ্রামীণ এলাকায় পরিষেবা ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দিন দুয়েক আগে মধ্যপ্রদেশের চরগাওয়ান থানা এলাকার তিনহেতা দেউড়ি গ্রামে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। যা বিজেপি শাসিত ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের ব্যর্থতাকে ফের বেআব্রু করে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় পান্দ্রে তার ৫ বছরের ছেলে ঋষিকে চিকিৎসার জন্য বারগির সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সেই সময় হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। অসহায় মা ও পরিবার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালের দরজায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও চিকিৎসকের দেখা মেলেনি।যার নিট ফল, হাসপাতালের চৌকাঠেই মৃত্যু হয় নিষ্পাপ শিশুটির। আশ্চর্যের বিষয়, শিশুটির মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরও হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক বা ব্লক মেডিক্যাল অফিসারের দেখা মেলেনি।
এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।মৃত শিশুটির পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অবহেলার গুরুতর অভিযোগ করেছেন। ক্ষুব্ধ স্বজনদের অভিযোগ, সময়মতো চিকিৎসা পেলে নিরীহ শিশুটিকে এভাবে বেঘোরে প্রাণ দিতে হত না।
গ্রামীণ জনপদে মায়ের কোলে ৫ বছরের শিশুর মৃত্যু নিয়ে নানা গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। কয়েক ঘণ্টা দেরি করে আসার কারণ হিসাবে চিকিৎসকের সাফাই,তার স্ত্রী একদিন আগে উপবাস রেখেছিলেন, তাই তিনি হাসপাতালে পৌঁছতে দেরি করেছেন।বিরেধীদের বক্রব্য, ডাবল ইঞ্জিন পরিচালিত বিজেপি সরকারের উন্নয়নের তীব্র গতির কাছে হার মেনে গ্রামীণ পরিবারটি তাদের ৫ বছরের নিষ্পাপ শিশুকে চিরতরে হারিয়েছে।