নিজের মেয়েকেই মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হল মেয়ের মৃতদেহ (Death)। তরুণীর নামে থাকা টাকা হাতানোর কারণেই এই চরম পরিণতি। নরেন্দ্রপুর থানার (Narendrapur Police Station) অন্তর্গত কালীতলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত (Investigation) শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বাবাকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ (interrogation)। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এক বছর আগে একই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল মৃতার মায়ের দেহ। আর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাড়ি থেকে উদ্ধার মেয়ের মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। তবে শুধুমাত্র টাকা হাতানোর (Grab Money) পরিকল্পনা নাকি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (Extra Marital Affairs) জেরে মৃত্যু? তা নিয়ে ধন্ধে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুরের কালীতলায় বছর আঠারোর মেয়ে সুদেষ্ণাকে (Sudeshna Naskar) নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন অভিযুক্ত বাবা অবিনাশ নস্কর। বুধবার বিকেলে সুদেষ্ণাকে তাঁর এক বান্ধবী বাড়ি থেকে ডাকতে এসে দেখে ভিতর থেকে বন্ধ সুদেষ্ণার ঘরের দরজা। বারবার ডেকেও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপরই ঘরের জানলায় চোখ রেখে বান্ধবী দেখতে পান ঘরের সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে সুদেষ্ণা। এরপরই তড়িঘড়ি ওই বান্ধবী আশেপাশের প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানায়। খবর দেওয়া হয় সুদেষ্ণার বাবা অবিনাশকেও। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরখানেক আগে সুদেষ্ণার মা ও অবিনাশের স্ত্রী বৃহস্পতি নস্করের দেহও উদ্ধার হয়েছিল। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, মা ও মেয়ের নামে ব্যাঙ্কে কিছু টাকা ছিল। সেই টাকা হাতাতেই পর পর দুজনকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানতে পেরেছে, অবিনাশের সঙ্গে অন্য মহিলার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই কারণেই মা ও মেয়ের রহস্য মৃত্যুর (Mysterious Death) সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত সুদেষ্ণার মামার বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত (Investigation) শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানা। সুদেষ্ণার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অবিনাশ নস্করের পাশাপাশি বাড়ির মালিক ও অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে মৃতার মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত (Seized) করা হয়েছে। তরুণীর মামার অভিযোগ, বছরখানেক আগে সুদেষ্ণার মায়ের ঠিক একইভাবে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সুদেষ্ণার মামার আরও অভিযোগ, তরুণীর মা মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ৩ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposits) করে রেখেছিলেন। আর সেই টাকা হাতানোর তাগিদেই মেয়েকে মেরেছে সে।














































































































































