বিজেপিপন্থী শ্রমিক সংগঠনের সভা। মঞ্চে উপস্থিত স্থানীয় সাংসদ তথা বিজেপির জনপ্রিয় নেতা দিলীপ ঘোষ। ঠিক সেই সময় ঘটে গেল এক অপ্রীতিকর ঘটনা। বিজেপির সভাস্থল থেকে কোমরে দড়ি বেঁধে হিঁচড়ে টানতে টানতে বের করে নিয়ে যাওয়া হল এক মহিলাকে! শুরু হল মারধর! এমন মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল খড়গপুরে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিন্তু কেন? আজ, বৃহস্পতিবার খড়গপুরে বিজেপির রেলওয়ে মজদুর গুদাম ইউনিয়নের সভা ছিল গোলবাজারের রবীন্দ্র ইনস্টিটিউট হলে। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
আচমকাই শুরু হয় হইহট্টগোল। দেখা যায়, কোমরে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে এক মহিলাকে হলের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বাইরে গিয়ে হাত-পা ও কোমরে দড়ি বাঁধা অবস্থায় বেধড়ক মারধর করা হয় ওই মহিলাকে।
জানা গিয়েছে, দিলীপ ঘোষের সামনে বিজেপির হাতে আক্রান্ত ওই মহিলার বাড়ি মালদহে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই মহিলা বিজেপির লোকেদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন। যাঁরা টাকা দিয়ে ঠকেছেন, তাঁরা ওই মহিলাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন। অবশেষে খড়গপুরে দিলীপ ঘোষের সভায় ওই মহিলাকে দেখে ফেলেন প্রতারিতরা।
কিন্তু এভাবে কী একজন প্রতারককে শাস্তি দেওয়া যায়? আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায়? তৃণমূল সাংসদ
শান্তনু সেন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, ”কেউ যদি প্রতারণা করে থাকে, তাহলে তার জন্য আইন রয়েছে। দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে করতে এখন অবলীলায় আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে। বিভিন্ন রিপোর্টে আমরা দেখেছি, বিজেপি জমানায় কীভাবে বিভিন্ন রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে। এদিনের দৃশ্যও সারা ভারতবর্ষ দেখল।”
আরও পড়ুন:শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপে বারণ! বিচারপতি মান্থার বিচার্য বিষয় বদলের দাবি বার অ্যাসোসিয়েশনের