হাইকোর্ট চত্বরে বুধবার রীতমতো উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে উদ্বোধন হল ‘জাগোবাংলা’র স্ট্যান্ড। পূরণ হল দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। উপস্থিত ছিলেন জাগোবাংলার সম্পাদক তথা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, মন্ত্রী মলয় ঘটক, বিধায়ক অশোক দেব, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, মুখপাত্র বিশ্বজিৎ দেব, অশোক ঢনঢনিয়া ও তরুণ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই জানা গেল, ১১১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম পুজোর ঢাকে কাঠি পড়বে এবারে হাইকোর্ট চত্বরেও। পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা। বিশেষ ভূমিকায় আছেন মহিলা আইনজীবীরা। উদ্যোগ আইনজীবীদের হাইকোর্ট ক্লাবের।
জাগোবাংলা স্ট্যান্ডকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত আইনজীবী থেকে কর্মী সবাই। জাগোবাংলা-র সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় তার উৎসাহে হাইকোর্ট চত্বরে পত্রিকার স্ট্যান্ড লাগানো হল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক অভিযোগ করেন, অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতি খবর দেখাচ্ছে না। কারণ, অধিকাংশ টিভি চ্যানেল বিজেপি বা তার বন্ধুরা কিনে নিয়েছে। এই কারণে ‘জাগোবাংলা’র মতো পত্রিকায় নিয়মিত চোখ রাখা জরুরি।
নানা মামলায় সিবিআইয়ের ব্যর্থতার পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণ মামলায় ২৫ বছরে একজনকেও সিবিআই গ্রেফতার করতে পারেনি। ২০১১ সালের নেতাই গণহত্যা মামলায় সিআইডি অভিযুক্তদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও সিবিআই একচুলও এগোতে পারেনি। রবিঠাকুরের নোবেল চুরির কিনারা করতে পারেনি।
আরও পড়ুনঃ আগামিকাল পুজোর মহামিছিল: প্রস্তুতি চূড়ান্ত, একনজরে যাত্রাপথ
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিতে তথ্য ও পরিসংখ্যান সহ দৈনিক প্রচুর রসদ থাকছে জাগো বাংলায়। বস্তুত এই কারণে দৈনিক ১১ লক্ষ পাঠকপাঠিকা জাগোবাংলা পড়ছেন। বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেব বলেন, ইডি-সিবিআইয়ের তথাকথিত সূত্রকে আমরা আইনজীবীরা মান্যতা দিই না। কোর্টের আইনজীবীরা আইন মেনে চলেন বলেই কাউকে ভয় পান না।